ভাবনা তোমাকে নিয়ে
মনোরঞ্জন ঘোষাল
এক-রাশ ভরা কালি আঁধারে
তুমি এসেছিলে, এক-চিলতে
আলোর কণা হয়ে।
কেউ কোত্থাও ছিলনা তখন
তুমি কোথা থেকে এলে!
বিস্ময় জাগে মনে আজও।
জানিনা সঠিক আজও
তবু কল্পনার জাল বুনে মনে হয়-
তুমি ছিলে এমনই ভাবে হেথায়
চারিদিকের অদৃশ্য বস্তুর জগতে ঘিরে
আষ্টেপৃষ্ঠে বাঁধা এক শিশুর মত
থাকে সে মাতৃ জঠরে যেমন অসহায়!
তার পর ভূমিষ্ঠ হলে একেলা
মহাবিস্ফোরণে জাহির করলে নিজের অস্তিত্ব।
এক-রাশ তেজে ভরা দেহ
অস্থিরতার জেদে নিজেকে আটকে-
রাখতে পারলে না শিশুর রূপে।
মনে এক-রাশ ঘৃণা নিয়ে
শুরু করলে শৈশবেই তাণ্ডব।
ঠেলে সরিয়ে দিতে থাকলে
অদৃশ্য আঁধার কালিতে ভরা বস্তু।
নিজেকে খণ্ড খণ্ড করে
গড়ে তুললে এক থেকে একাধিক শিশু
তারা সবাই লড়াই শুরু করল
তোমার পক্ষ নিয়ে হেথায়।
সবাই সমান হল না।
কেউ হল রুদ্র তপ্ত মেদিনীতে ভরা
আর কেউ হিম শিতল
হিমাঙ্কের নীচে উষ্ণতায় ভরা
তোমার একটুও রাগ ফুটে উঠল না শরীরে।
নানা রূপে ভরিয়ে দিলে
তবে প্রাণ দিলেনা কারেও!
তবু আশা জাগে হয়তো দিয়েছো কোথাও
আমাদের অজান্তে খুঁজি তায়।
কত বিস্ময় ভরা বুকে তোমার
আমরা পেয়েছি আশ্রয় নিজেকে জাহির করার।
জানিনা সত্য কী না
মনে হয় এ তোমার করুণার ধ্বনি
প্রতিধ্বনিত হচ্ছে আজ সবাকার বুকে
নির্মম ধ্বংসের বীজ রূপে।
হয়তো তুমিই জানতে দিতে চাওনা
তোমার স্বরূপ কারেও অবহেলে।
জানি পুতেছো বীজ নিজ করে
হয়তো অছিলায় তুমিই ধ্বংস করে
ফিরিয়ে নিতে চাও তোমার বুকে।
তবে কী এক অদ্বিতীয় হয়ে
আবার ফিরে যাবে তুমি
ঐ আলোর বিন্দু হয়ে আঁধারের ঘরে!
অস্তিত্ব রাখবে না কারো
আলাদা করে তোমা বিহনে!
জাগে প্রত্যয়, ভয় হয়!