অসুখী একজন (কবিতা )
—পাবলো নেরুদা
তরজমা— নবারুণ ভট্টাচার্য
ইংরেজি অনুবাদ : The unhappy one
মূলগ্রন্থ : বিদেশি ফুলে রক্তের ছিটে
✍ 'সেখানে ছিল শহর/সেখানে ছড়িয়ে রইলো _________ ' কাঠকয়লা ।
✍ 'অসুখী একজন' কবিতায় কবির কাছে রক্তের দাগ--কালো ।
✍ অপেক্ষায় দাঁড় করিয়ে রেখে যায় -- দরজায় ।
✍ 'অসুখী একজন' কবিতায় বৃষ্টিতে ধুয়ে যায় — পায়ের দাগ ।
✍ তার মাথার উপর পাথরের মত নেমে এলো------বছরগুলো ।
✍ হেঁটে গেল গির্জার এক _______ নান ।
✍ অসুখী একজন কবিতায় একমাত্র মৃত্যু হয়নি------- মেয়েটির ।
✍ শান্ত হলুদ দেবতারা হাজার বছর ডুবে ছিল ------ ধ্যানে ।
✍ 'অসুখী একজন' কবিতায় গাছের রং কেমন------গোলাপি
✍ কবি ঝুলন্ত বিছানায় ঘুমিয়েছিলেন------ বারান্দায় ।
✍ পাবলো নেরুদা সাহিত্যে নোবেল পান------১৯৭১ সালে ।
✍ 'তারপর যুদ্ধ এল'------- রক্তের এক আগ্নেয় পাহাড়ের মতো
✍ উল্টে পড়ল মন্দির থেকে টুকরো টুকরো হয়ে---- শান্ত হলুদ দেবতারা ।
আফ্রিকা (কবিতা )
—রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
• মূলগ্রন্থ : পত্রপুট
✍ উদভ্রান্ত সেই _______ যুগে । — আদিম ।
✍ স্রষ্টা বার বার বিধ্বস্ত করেছিলেন— নতুন সৃষ্টিকে ।
✍ স্রষ্টা বার বার মাথা নাড়ছিলেন, কারণ — অধৈর্যে ।
✍ 'ছিনিয়ে নিয়ে গেল তোমাকে' —এখানে 'তুমি' বলতে বোঝানো হয়েছে–আফ্রিকাকে ।
✍ সমুদ্রপারে মন্দিরে ঘন্টা বাজছিল ।
✍ সভ্যের বর্বর লোক নগ্ন করলো — আপন নির্লজ্জ অমানুষতা ।
✍ চিরচিহ্ন দিয়ে গেলো তোমার ________ ইতিহাসে ।— অপমানিত
✍ শিশুরা খেলছিল------------ মায়ের কোলে ।
✍ কবি আফ্রিকাকে ছায়াবৃতা নামে সম্বোধন করেছেন ।
✍ মানহারা মানবী বলতেে বোঝানো হয়েছে— আফ্রিকাকে ।
✍ কবির সংগীতে বেজে উঠেছিল-------সুন্দরের আরাধনা ।
✍ গুপ্ত গহ্বর থেকে ______ বেরিয়ে এলো ।------ পশুরা
✍ নিভৃত অবকাশে আফ্রিকা সংগ্রহ করছিল– দুর্গমের রহস্য ।
✍ কালো ঘোমটার নীচে অপরিচিত ছিল– আফ্রিকার মানবরূপ ।
✍ 'পঙ্কিল হল ধূলি'––– রক্ত -অশ্রুতে মিশে ।
অভিষেক ( কবিতা )
—মাইকেল মধুসূদন দত্ত
• মূলগ্রন্থ : 'মেঘনাদ বধ 'কাব্যের প্রথম সর্গ 'অভিষেক'
✍ 'প্রণমিয়া ধাত্রীর চরণে' --- ইন্দ্রজিতের ধাত্রী------- প্রভাষা ।
✍ ধাত্রীর ছদ্মবেশে ইন্দ্রজিতের কাছে এসেছেন -------- সমুদ্রকন্যা দেবী লক্ষ্মী তথা ভগবতী ।
✍ ইন্দ্রজিৎ ছদ্মবেশধারী লক্ষ্মীর কাছে জানতে চাইলেন— স্বর্ণলঙ্কার কুশল তথা খবরাখবর ।
✍ ইন্দ্রজিৎ ধাত্রীর চরণে প্রণাম করে তাকে মাতঃ বলে সম্বোধন করলেন ।
✍ 'অম্বুরাশি-সূতা' হলেন ------- সমুদ্রকন্যা দেবী লক্ষ্মী ।
✍ দেবী লক্ষ্মীর অপর নাম 'অম্বুরাশি-সূতা' কারণ— সমুদ্রমন্থনজাত বলে।
✍ 'অম্বুরাশি-সূতা' কার ছদ্মবেশ ধারণ করেছিলেন—ইন্দ্রজিতের ধাত্রী মাতা (ধাই-মা ) প্রভাষার ।
✍ 'অম্বুরাশি-সূতা' বীরবাহুর মৃত্যু সংবাদ বহন করে নিয়ে এসেছিলেন ।
✍ বীরবাহুর শোকে সসৈন্যে যুদ্ধে যাবার জন্য প্রস্তুত হচ্ছেন— স্বর্ণলঙ্কার অধিপতি রাবণ ।
✍ 'মহাশোকী রাক্ষসাধিপতি' বলা হয়েছে— লঙ্কার অধিপতি রক্ষরাজ রাবণকে ।
✍ 'জিজ্ঞাসিলা মহাবাহু' --- 'মহাবাহু' হলেন ইন্দ্রজিৎ ।
✍ 'কে বধিল কবে প্রিয়ানুজে ?' --- 'প্রিয়ানুজ' হলেন ইন্দ্রজিতের প্রিয় ভাই বীরবাহু (বা রাবণ ও মাতা চিত্রাঙ্গদার পুত্র বীরবাহু )।
✍ প্রিয়ানুজকে বধ করেছে রাঘব তথা রামচন্দ্র ।
✍ 'তব শরে মরিয়া বাঁচিল ' --- ইন্দ্রজিতের শর প্রয়োগে রঘুবর তথা রামচন্দ্র মরে বেঁচে উঠেছে ।
✍ 'রক্ষচূড়ামণি' বলা হয়েছে ইন্দ্রজিৎকে ।
✍ 'বীরেন্দ্রকেশরী' বলা হয়েছে-- বীর শ্রেষ্ঠ ইন্দ্রজিৎকে।
✍ 'মায়াবী মানব' বলতে বোঝানো হয়েছে – রামচন্দ্রকে ।
✍ ইন্দ্রজিতের যুদ্ধযাত্রাকালে রথের রঙ কেমন ছিল— মেঘবর্ণ ।
✍ বিধুমুখী বলে মেঘনাদ সম্বোধন করেছেন-- প্রমীলাকে ।
✍ হৈমপাখা বিস্তার করে মৈনাক পাহাড়ের মতো ইন্দ্রজিতের রথ উড়েছিল।
• মাধ্যমিক বাংলা • সমস্ত অধ্যায় সংক্ষেপে
© জয়দেব বিশ্বাস, বিথারী ঐকতান শিক্ষা-নীড়, ফোন—৭৫০১৫৭৫৬৫৪
প্রলোয়োল্লাস (কবিতা )
—কাজী নজরুল ইসলাম
• মূলগ্রন্থ : অগ্নিবীণা
✍ 'প্রলোয়োল্লাস' কবিতাটি 'অগ্নিবীণা' কাব্যের প্রথম সংখ্যক কবিতা ।
✍ নজরুল ইসলাম রচিত প্রথম কবিতার নাম— মুক্তি ।
✍ 'প্রলোয়োল্লাস' শব্দের অর্থ– ধ্বংসজনিত আনন্দ ।
✍ সর্বনাশী জ্বালামুখী বলা হয়েছে– ধূমকেতুকে ।
✍ জগৎজুড়ে ঘনিয়ে আসছে– প্রলয় ।
✍ দিগম্বরের জটায় হাসে– শিশু চাঁদের কর ।
✍ বজ্রশিখার মশাল জ্বেলে আসছে – ভয়ংকর ।
✍ কাল ভয়ংকরের বেশে আসে –সুন্দর ।
✍ জীবনহারা অ-সুন্দরে ছেদন করতে আসছে– নবীন।
✍ ভেঙে আবার গড়তে জানে সে – চিরসুন্দর ।
✍ রণিয়ে উঠৈ হ্রেষার কাঁদন–বজ্রগানে ঝড়-তুফানে।
সিন্ধুতীরে ( কবিতা )
—সৈয়দ আলাওল
• মূলগ্রন্থ : পদ্মাবতী (পদ্মা -সমুদ্র খণ্ড )
✍ সৈয়দ আলাওল আরাকান রাজসভার কবি
ছিলেন ।
✍ মাগন ঠাকুরের পৃষ্ঠপোষকতায় সৈয়দ আলাওল পদ্মাবতী কাব্য রচনা করেন ।
✍ পদ্মাবতী সিংহল দেশের রাজকন্যা ।
✍ মাঞ্জস কথার অর্থ —ছোটো নৌকা বা ভেলাবিশেষ।
✍ চারদণ্ড হল -- এক দণ্ড=২৪ মিনিট × ৪ = ৯৬ মিনিট ।
✍ সমুদ্রনৃপতি সুতা বলতে সমুদ্রকন্যা পদ্মাকে বোঝানো হয়েছে ।
✍ বেথানিত শব্দের অর্থ — এলোমেলো, অবিন্যস্ত ।
✍ সিন্ধুতীরে কবিতায় পঞ্চকন্যা হলো---পদ্মাবতী ও চার সখী ( চন্দ্রকলা, বিজয়া, রোহিনী এবং বিধুন্নলা ) । ✍ পদ্মা কৃপা প্রার্থনা করেছেন– নিরঞ্জন অর্থাৎ দেবতা বা ধর্মঠাকুরের কাছে।
✍ কবির আত্মপরিচয় জ্ঞাপক উক্তিকে বলা হয়-- ভণিতা ।
✍ 'সিন্ধুতীরে' পদ্যাংশে গুণী বলা হয়েছে --মাগন ঠাকুরকে ।
✍ 'জিনি' শব্দের অর্থ— জয় করা ।
✍ কন্যাকে ফেলা হয়েছিল সমুদ্রের মাঝখানে দিব্যপুরীতে ।
✍ সমুদ্রের মাঝে দিব্যপুরীকে 'অতিমনোহর দেশ' বলা হয়েছে ।
✍ সমুদ্রকন্যা পদ্মার নির্দেশে তার সখীরা অচৈতন্য চার সখীসহ পদ্মাবতীকে উদ্যানের মাঝে নিল ।
✍ 'বাহুরক' কথাটির অর্থ হল — ফিরে আসুক ।
✍ 'বেকত' কথাটির অর্থ হল — উন্মুক্ত বা প্রকাশিত ।
অস্ত্রের বিরুদ্ধে গান (কবিতা )
—জয় গোস্বামী
• মূলগ্রন্থ : পাতার পোশাক
✍ অস্ত্রকে পায়ে রাখার কথা বলা হয়েছে ।
✍ কবি গায়ে পরেছেন--- গানের বর্ম ।
✍ ঋষি বালকের মাথায় গোঁজা— ময়ূর পালক ।
✍ কবি রক্ত মোছার কথা বলেন— গানের গায়ে । ✍ 'ঋষিবালক' শব্দটিকে বিশ্লেষণ করলে 'ঋষির বালক' বা 'ঋষি সদৃশ বালক' পওয়া যায় । তবে এখানে ঋষিসদৃশ মানসিকতাসম্পন্ন প্রেমাবতার শ্রীকৃষ্ণকে বোঝানো হয়েছে ।
✍ মানবতার পূজারি, প্রেমের গানের প্রতীক কবির একটি কোকিল সহস্র উপায়ে গান বাঁধবে ।
✍ "মাথায় গোঁজা ময়ূরপালক" — এখানে পৌরানিক কাহিনি মতে, দ্বাপরযুগের পরমপুরুষ শ্রীকৃষ্ণের মাথায় ময়ূরপালক গোঁজা দেখা যায় । এটি তাঁর অলংকার সদৃশ ।
✍ "গানের বর্ম আজ পরেছি গায়ে"— 'বর্ম' হল বিশেষ এক ধরনের অভেদ্য আবরণ, যা সারাদেহে ধারণ করে যোদ্ধারা যুদ্ধ করেন এবং শত্রুপক্ষের অস্ত্রাঘাত থেকে নিজেকে রক্ষা করেন ।
✍ "রক্ত মুছি শুধু গানের গায়ে"— 'রক্ত মুছি' ব্যাপারটি হল মানবতাবাদী কবি প্রেমের মন্ত্রে উজ্জীবিত হয়ে মনের সমস্ত গ্লানি, দুঃখ, যন্ত্রণা, ভালোমন্দ, ন্যায়- অন্যায় সবই সর্বকল্যাণময় ঈশ্বরের কাছে সমর্পণ করেন ।
• মাধ্যমিক বাংলা • সমস্ত অধ্যায় সংক্ষেপে © জয়দেব বিশ্বাস, বিথারী ঐকতান শিক্ষা-নীড়,
ফোন—৭৫০১৫৭৫৬৫৪
Website: https://sahitya-chetona.blogspot.com
আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি (কবিতা )
—শঙ্খ ঘোষ
• মূলগ্রন্থ : জলই পাষান হয়ে আছে
✍ কবি শঙ্খ ঘোষ যে ছদ্মনাম ব্যবহার করেছেন— কুন্তক ।
✍ 'আমাদের ________ উড়ে গেছে । — ঘর
✍ আমরা ভিখারি ___________। — বারোমাস
✍ আমাদের ডানপাশে — ধ্বস। বাঁয়ে — গিরিখাত। মাথায়—বোমারু।
✍ আমাদের যে ইতিহাস তা — আমাদের চোখ মুখ ঢাকা ।
✍ আমরা ফিরেছি— দোরে দোরে ।
[ বিঃ দ্রঃ — 'সিরাজদ্দৌলা' নাট্যাংশ থেকে শুধুমাত্র ৪ নম্বরের জন্য প্রশ্ন আসবে। এজন্য এই অধ্যায় থেকে কোনো সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর দেওয়া হয়নি। ]