1 / 7
2 / 7
3 / 7
4 / 7
5 / 7
6 / 7
7 / 7

কবিতা, সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর, মাধ্যমিক ( দ্বিতীয় পর্ব)




অসুখী একজন  (কবিতা ) 
—পাবলো নেরুদা   
   তরজমা— নবারুণ ভট্টাচার্য 
  ইংরেজি অনুবাদ :  The unhappy one 
 মূলগ্রন্থ : বিদেশি ফুলে রক্তের ছিটে 
                          
                                  
✍ 'সেখানে ছিল শহর/সেখানে ছড়িয়ে রইলো _________ '  কাঠকয়লা ।   
✍  'অসুখী একজন' কবিতায় কবির কাছে রক্তের দাগ--কালো  ।                     
✍  অপেক্ষায় দাঁড় করিয়ে রেখে যায় -- দরজায় ।     
✍  'অসুখী একজন' কবিতায় বৃষ্টিতে  ধুয়ে যায় — পায়ের দাগ ।                 
✍  তার মাথার উপর পাথরের মত নেমে এলো------বছরগুলো  ।               
✍  হেঁটে গেল গির্জার এক _______  নান । 
✍  অসুখী একজন কবিতায় একমাত্র মৃত্যু হয়নি------- মেয়েটির  ।
✍  শান্ত  হলুদ দেবতারা হাজার বছর ডুবে ছিল ------ ধ্যানে ।
✍  'অসুখী একজন' কবিতায় গাছের রং কেমন------গোলাপি 
✍  কবি ঝুলন্ত বিছানায় ঘুমিয়েছিলেন------ বারান্দায় ।
✍  পাবলো নেরুদা সাহিত্যে নোবেল পান------১৯৭১ সালে । 
✍  'তারপর যুদ্ধ এল'------- রক্তের এক আগ্নেয় পাহাড়ের মতো 
✍  উল্টে পড়ল মন্দির থেকে টুকরো টুকরো হয়ে---- শান্ত হলুদ দেবতারা ।


  আফ্রিকা (কবিতা )
—রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর   
• মূলগ্রন্থ : পত্রপুট


✍  উদভ্রান্ত সেই _______ যুগে । — আদিম । 
✍  স্রষ্টা বার বার বিধ্বস্ত করেছিলেন— নতুন  সৃষ্টিকে ।
✍   স্রষ্টা বার বার মাথা নাড়ছিলেন, কারণ — অধৈর্যে
✍ 'ছিনিয়ে নিয়ে গেল তোমাকে' —এখানে 'তুমি' বলতে বোঝানো হয়েছে–আফ্রিকাকে ।  
✍  সমুদ্রপারে মন্দিরে  ঘন্টা বাজছিল ।
✍  সভ্যের বর্বর লোক নগ্ন করলো — আপন নির্লজ্জ অমানুষতা ।                   
✍  চিরচিহ্ন দিয়ে গেলো তোমার ________ ইতিহাসে ।— অপমানিত         
✍  শিশুরা খেলছিল------------ মায়ের কোলে ।     
✍  কবি আফ্রিকাকে  ছায়াবৃতা  নামে সম্বোধন   করেছেন ।                         
✍  মানহারা মানবী বলতেে বোঝানো হয়েছে— আফ্রিকাকে ।                     
✍  কবির সংগীতে  বেজে উঠেছিল-------সুন্দরের আরাধনা ।                     
✍  গুপ্ত গহ্বর থেকে ______ বেরিয়ে  এলো ।------ পশুরা                           
✍  নিভৃত অবকাশে আফ্রিকা সংগ্রহ করছিল– দুর্গমের রহস্য ।           
✍  কালো ঘোমটার নীচে অপরিচিত ছিল– আফ্রিকার মানবরূপ ।           
✍  'পঙ্কিল হল ধূলি'––– রক্ত -অশ্রুতে মিশে ।
      
   
 অভিষেক ( কবিতা ) 
—মাইকেল মধুসূদন দত্ত
•  মূলগ্রন্থ : 'মেঘনাদ বধ 'কাব্যের প্রথম সর্গ 'অভিষেক'
                 

✍  'প্রণমিয়া ধাত্রীর চরণে' --- ইন্দ্রজিতের ধাত্রী------- প্রভাষা ।                         
✍  ধাত্রীর ছদ্মবেশে ইন্দ্রজিতের কাছে এসেছেন -------- সমুদ্রকন্যা দেবী লক্ষ্মী তথা ভগবতী ।      
✍  ইন্দ্রজিৎ ছদ্মবেশধারী লক্ষ্মীর কাছে জানতে চাইলেন— স্বর্ণলঙ্কার কুশল তথা খবরাখবর ।        
✍  ইন্দ্রজিৎ ধাত্রীর চরণে প্রণাম করে তাকে মাতঃ  বলে সম্বোধন করলেন ।
✍ 'অম্বুরাশি-সূতা' হলেন ------- সমুদ্রকন্যা দেবী লক্ষ্মী ।
  দেবী লক্ষ্মীর অপর নাম 'অম্বুরাশি-সূতা' কারণ— সমুদ্রমন্থনজাত বলে। 
✍  'অম্বুরাশি-সূতা' কার ছদ্মবেশ ধারণ করেছিলেন—ইন্দ্রজিতের ধাত্রী মাতা (ধাই-মা ) প্রভাষার ।           
✍ 'অম্বুরাশি-সূতা' বীরবাহুর  মৃত্যু সংবাদ বহন করে নিয়ে এসেছিলেন ।         
✍  বীরবাহুর শোকে সসৈন্যে যুদ্ধে যাবার জন্য প্রস্তুত হচ্ছেন— স্বর্ণলঙ্কার অধিপতি রাবণ ।                     
✍ 'মহাশোকী রাক্ষসাধিপতি' বলা হয়েছে— লঙ্কার অধিপতি রক্ষরাজ রাবণকে ।                           
✍ 'জিজ্ঞাসিলা মহাবাহু' --- 'মহাবাহু' হলেন ইন্দ্রজিৎ । 
✍  'কে বধিল কবে প্রিয়ানুজে ?' --- 'প্রিয়ানুজ' হলেন ইন্দ্রজিতের প্রিয় ভাই বীরবাহু  (বা রাবণ ও মাতা চিত্রাঙ্গদার পুত্র বীরবাহু  )।                               
✍  প্রিয়ানুজকে বধ করেছে রাঘব তথা রামচন্দ্র ।   
✍ 'তব শরে মরিয়া বাঁচিল ' --- ইন্দ্রজিতের শর প্রয়োগে রঘুবর তথা রামচন্দ্র মরে বেঁচে উঠেছে ।               
✍  'রক্ষচূড়ামণি' বলা হয়েছে ইন্দ্রজিৎকে ।       
✍  'বীরেন্দ্রকেশরী' বলা হয়েছে-- বীর শ্রেষ্ঠ  ইন্দ্রজিৎকে।    
✍  'মায়াবী মানব' বলতে বোঝানো হয়েছে  – রামচন্দ্রকে । 
✍  ইন্দ্রজিতের যুদ্ধযাত্রাকালে রথের রঙ কেমন ছিল— মেঘবর্ণ । 
✍  বিধুমুখী বলে মেঘনাদ সম্বোধন করেছেন-- প্রমীলাকে ।  
✍  হৈমপাখা বিস্তার করে মৈনাক পাহাড়ের  মতো ইন্দ্রজিতের রথ উড়েছিল।

         • মাধ্যমিক বাংলা • সমস্ত অধ্যায় সংক্ষেপে     
  © জয়দেব  বিশ্বাস, বিথারী ঐকতান শিক্ষা-নীড়,                                          ফোন—৭৫০১৫৭৫৬৫৪     


  প্রলোয়োল্লাস  (কবিতা ) 
—কাজী নজরুল ইসলাম  
  • মূলগ্রন্থ : অগ্নিবীণা 


✍  'প্রলোয়োল্লাস' কবিতাটি  'অগ্নিবীণা' কাব্যের প্রথম সংখ্যক কবিতা ।
✍  নজরুল ইসলাম রচিত প্রথম কবিতার নাম—  মুক্তি । 
✍  'প্রলোয়োল্লাস' শব্দের অর্থ– ধ্বংসজনিত আনন্দ ।
✍  সর্বনাশী জ্বালামুখী বলা হয়েছে– ধূমকেতুকে ।   
✍  জগৎজুড়ে ঘনিয়ে আসছে– প্রলয় । 
✍  দিগম্বরের জটায় হাসে– শিশু চাঁদের কর ।     
✍  বজ্রশিখার মশাল জ্বেলে আসছে – ভয়ংকর ।  
✍  কাল ভয়ংকরের বেশে আসে –সুন্দর ।       
✍  জীবনহারা অ-সুন্দরে ছেদন করতে আসছে– নবীন।
✍  ভেঙে আবার গড়তে জানে সে – চিরসুন্দর । 
✍  রণিয়ে উঠৈ হ্রেষার কাঁদন–বজ্রগানে ঝড়-তুফানে।


                      

 সিন্ধুতীরে  ( কবিতা )      
  —সৈয়দ আলাওল         
• মূলগ্রন্থ : পদ্মাবতী  (পদ্মা -সমুদ্র খণ্ড )


✍  সৈয়দ আলাওল আরাকান রাজসভার  কবি  
 ছিলেন ।                         
✍  মাগন ঠাকুরের পৃষ্ঠপোষকতায় সৈয়দ আলাওল পদ্মাবতী কাব্য রচনা করেন ।                             
✍  পদ্মাবতী সিংহল দেশের রাজকন্যা ।             
✍  মাঞ্জস  কথার অর্থ —ছোটো নৌকা বা ভেলাবিশেষ।
✍   চারদণ্ড  হল -- এক দণ্ড=২৪ মিনিট × ৪ = ৯৬ মিনিট ।                                                                   
✍  সমুদ্রনৃপতি সুতা  বলতে সমুদ্রকন্যা পদ্মাকে বোঝানো হয়েছে ।                                           
✍  বেথানিত শব্দের অর্থ — এলোমেলো, অবিন্যস্ত ।
✍  সিন্ধুতীরে কবিতায় পঞ্চকন্যা হলো---পদ্মাবতী ও চার সখী ( চন্দ্রকলা, বিজয়া, রোহিনী এবং বিধুন্নলা ) ।    ✍  পদ্মা কৃপা প্রার্থনা করেছেন– নিরঞ্জন অর্থাৎ দেবতা বা ধর্মঠাকুরের কাছে।                                             
✍  কবির আত্মপরিচয় জ্ঞাপক উক্তিকে বলা হয়-- ভণিতা ।                                                               
✍  'সিন্ধুতীরে' পদ্যাংশে গুণী  বলা হয়েছে --মাগন ঠাকুরকে ।                                                           
✍  'জিনি' শব্দের অর্থ— জয় করা ।                       
✍ কন্যাকে ফেলা হয়েছিল সমুদ্রের মাঝখানে দিব্যপুরীতে ।                                                           
✍ সমুদ্রের মাঝে দিব্যপুরীকে 'অতিমনোহর দেশ' বলা হয়েছে । 
✍ সমুদ্রকন্যা পদ্মার নির্দেশে তার সখীরা অচৈতন্য চার সখীসহ পদ্মাবতীকে উদ্যানের মাঝে নিল । 
✍ 'বাহুরক' কথাটির অর্থ হল — ফিরে আসুক ।     
✍ 'বেকত' কথাটির অর্থ হল — উন্মুক্ত বা প্রকাশিত ।         


                                                            
অস্ত্রের বিরুদ্ধে গান  (কবিতা )      
  —জয় গোস্বামী               
•  মূলগ্রন্থ : পাতার পোশাক


✍  অস্ত্রকে পায়ে  রাখার কথা বলা হয়েছে ।             
✍  কবি গায়ে পরেছেন--- গানের বর্ম ।                   
✍  ঋষি বালকের মাথায় গোঁজা— ময়ূর পালক ।     
✍  কবি  রক্ত মোছার কথা বলেন— গানের গায়ে ।    ✍  'ঋষিবালক' শব্দটিকে বিশ্লেষণ করলে 'ঋষির বালক' বা 'ঋষি সদৃশ বালক'  পওয়া যায় । তবে এখানে ঋষিসদৃশ মানসিকতাসম্পন্ন প্রেমাবতার শ্রীকৃষ্ণকে বোঝানো হয়েছে ।                             
✍  মানবতার পূজারি, প্রেমের গানের প্রতীক কবির একটি কোকিল সহস্র উপায়ে গান বাঁধবে ।                  
✍  "মাথায় গোঁজা ময়ূরপালক" — এখানে পৌরানিক কাহিনি মতে, দ্বাপরযুগের পরমপুরুষ শ্রীকৃষ্ণের মাথায় ময়ূরপালক গোঁজা দেখা যায় । এটি তাঁর অলংকার সদৃশ ।                                                                      
✍  "গানের বর্ম আজ পরেছি গায়ে"— 'বর্ম' হল  বিশেষ এক ধরনের অভেদ্য আবরণ, যা সারাদেহে ধারণ করে যোদ্ধারা যুদ্ধ করেন এবং শত্রুপক্ষের অস্ত্রাঘাত থেকে নিজেকে রক্ষা করেন ।                                               
✍  "রক্ত মুছি শুধু গানের গায়ে"— 'রক্ত মুছি' ব্যাপারটি হল মানবতাবাদী কবি প্রেমের মন্ত্রে উজ্জীবিত হয়ে মনের সমস্ত গ্লানি, দুঃখ, যন্ত্রণা, ভালোমন্দ, ন্যায়- অন্যায় সবই সর্বকল্যাণময় ঈশ্বরের কাছে সমর্পণ করেন ।       





         • মাধ্যমিক বাংলা • সমস্ত অধ্যায় সংক্ষেপে              © জয়দেব  বিশ্বাস, বিথারী ঐকতান শিক্ষা-নীড়, 
                              ফোন—৭৫০১৫৭৫৬৫৪ 
Website:  https://sahitya-chetona.blogspot.com   


আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি (কবিতা )      
—শঙ্খ ঘোষ           
•  মূলগ্রন্থ : জলই পাষান হয়ে আছে


✍  কবি শঙ্খ ঘোষ যে ছদ্মনাম ব্যবহার করেছেন— কুন্তক । 
✍  'আমাদের ________ উড়ে গেছে । — ঘর         
✍  আমরা ভিখারি ___________। — বারোমাস         
✍  আমাদের ডানপাশে — ধ্বস। বাঁয়ে — গিরিখাত। মাথায়—বোমারু।                                                 
✍  আমাদের যে ইতিহাস তা — আমাদের চোখ মুখ ঢাকা ।                                                                   
✍ আমরা ফিরেছি— দোরে দোরে ।



[ বিঃ দ্রঃ — 'সিরাজদ্দৌলা' নাট্যাংশ থেকে শুধুমাত্র ৪ নম্বরের জন্য প্রশ্ন আসবে।  এজন্য এই অধ্যায় থেকে কোনো সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর দেওয়া হয়নি। ]
Joydeb Biswas

Poet Joydeb Biswas studied Bengali literature. In 2015, at the age of 22, he published 'Sahitya Chetona' magazine. Currently two editions of the magazine are published. One is the online version and the other is the printed version. He is the founder and editor of the two editions. facebook twitter youtube instagram whatsapp

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন