কাক তাড়ুয়া
রতন দেবনাথ
অনেক সময় বয়ে বেরাতে হয় মাছির ঘৃণ্য জীবন,
শরীরী-মায়া সৃজনে অক্ষম ক্লীব পিন্ড;
অসহ্য হয়ে ওঠে অতীতের প্রেরণার প্রতিমূর্তি,
বিভ্রান্তি ছড়ায় থলির ভিতরের পুতির গিঁট–
শুধু অভ্যাস বসত সচল থাকে অঙ্গুলির কম্পন!
তবুও শরীর চলে না কি!
চলে; ক্ষণে ক্ষণে তপ্ত লাভা খোঁচাদেয় ক্ষতে,
খানিক দূরে দাঁড়ানো ধূসর-দূত ল্যাজ নাড়ায়,
ভ্রুকুটি করে থেকে থেকে
জানে সে সব, জানে সে ভালো করে–
কাক তাড়ুয়া আমরা সবাই;
অক্ষমতা সঙ্গী করেই জন্ম নিই, মৃত্যুতেও অক্ষম!
শূন্য বুকে, শূন্য মাঠে অন্যের ফসল পাহারা দিয়ে, একপায়ে দাঁড়িয়ে কাটে কত-না স্থবির সময়;
দূরথেকে কেউ কেউ ভয়পায় মুখের চুনকালি
খেচরের মতন –
বুঝি কোন খোক্ষস দাঁড়িয়ে ওখানে!
দমকা হাওয়া এলে ভুল ভাঙ্গে–
অই, অই সেই মাথামোটা,
অঙ্গহীন প্রত্যঙ্গহীন অসার কঙ্কাল!