পোশাক ছেড়েছি নগ্ন হইনি
বিদ্যুৎ ভৌমিক
আস্তিন থেকে মুখ বারিয়ে দিল ছবির শহর ; স্বীকার্য মধ্যভাগে প্রাণ সামলে স্বাগত শব্দ কিছু ঝাপসা খোলা বেমালুম সরস্বত ! অতিরিক্ত ঝিম মেরে কৈশোর এভাবেই বিলাসি পদ্যের ভেতর অবিচল শূন্যতা আঁকে ,---- তবুও পাংশুটে এক রাস্তায় মধ্যরাতে একা একা বৃষ্টিতে ভিজতে - ভিজতে একটা লোম ওঠা কুকুর পদবিহীন সারমেত্ত নাবালীকার যোনীর জায়গা জিভ দিয়ে চাটে !
আলো গুলো জ্বলছে সারারাতের বৃষ্টির ভেতর ,---- স্বজনহীন কালো রাত বৃষ্টি নিয়েই নির্ঘুম একক এভাবেই ! কোথাকার মন থেকে রাতবেস্যারা কটুবাক্যে নিজেরাই পর্দা সরিয়ে দিয়ে অচেনা দরজা খুলে দেয় অলৌকিক রাতসঙ্গীর কাছে ,--- আত্মগর্বে বুদ্ধিজীবী পোকা-মাকোড়েরা এই রাস্তাতে দিন হলে মিছিল করে ; তবু অন্য প্রশ্ন আঁকে বেহায়া প্রজাপতির দল !
সর্দার পাড়ার কিছু মেয়ামানুষ রাতের শহরকে দেখায় পেটের মধ্যে থাকা অদেখা ভুবন !
এভাবে প্রায় দিনই এই রাস্তায় আমি চলি অনেক অসুখ বুকে নিয়ে ; তবু হাইওয়ের মাঝ বরাবর দিয়ে কোনো এক অচেনা মদ্যপ ঈশ্বর অসাবধানে হেটে হেটে রাস্তা পাড় করে !
এই কটা দিন দেওয়ালের রাজনৈতিক স্লোগান গুলো বৃষ্টিতে ভিজে ভিজে বর্ণমালা হরায় !
যদিও এই সর্বনাশ ঘুরে ফিরে নিরবে নিভৃতে কাঁদে বিবেক পাড়ায় ,----- শয়তান শৃঙ্খলে বাঁধা শহরের আইন ; প্রতিরাতে এই বৃষ্টির ভেতর স্বপ্নে স্বপ্নে ঘুম বিক্রি করে অন্যমনা চাঁদ ! কথা হারিয়ে ওই লোকটা স্মৃতির ভেতর মনে মনে সোহাগচিহ্ন মুছে দেয় দর্পণে সূর্যদয় হলে ,---- স্বভবতই এমনই বিরামহীন ছায়াচিত্র ; ওধারের শূন্যতাকে চ্যালেঞ্জ ঠুকে নিদারুণ ধারাভাস্যে বলে , পোশাক ছেড়েছি কিন্তু নগ্ন হইনি !!