কবি তৈমুর খান -এর দু'টি কবিতা
১
রূপক বেড়াল
বেড়ালের ভেতরে বেড়াল
সমস্ত রূপক ভেদ করে তার কাছে যাই
দেখি সেও মানুষ—অবিকল বেড়ালের মতো চোখ-মুখ-দাঁত-নখ আর নরম সোনালি লেজ খাড়া হয়ে আছে
চারিদিকে হিমঝরা রাত
নৈঃশব্দ্য কান্নায় সতর্ক দীর্ঘশ্বাস
বেদনার নৈবেদ্য সাজায় ঘরে ঘরে
বিভ্রান্তির রাস্তায় হেঁটে যায় মরীচিকার আলো
যদিও আগুন আর দাহ
ছাইরঙা কোনও অন্তর্ঘাত খেলা করে
বেড়ালেরা এসে গলা ধরে, চুমু খায়
তারপর ঘন্টা বেজে ওঠে—
সেসব মৃত্যুর ঘন্টা : থেকে থেকে বাজে
আমাদের মরমের লাশগুলি জমা হয় মনের ভেতরে
২
মৃত্যুর আগে কিছুক্ষণ ভেবে নিতে হবে
উচ্ছ্বাসের বন্যায় হিংস্র প্রাণীরাও দারুণ উচ্ছ্বসিত
সবাই নেমেছে সভ্যতার পথে
এবার নিধন হব আমরাও তবে
সেইসব খাদকের কাছে?
এই স্তব্ধতায় কিছুক্ষণ ভেবে নিতে হবে
তারপর হেঁটে যাব মৃত্যুর দিকে!
এমন উগ্র ধার, ক্রুদ্ধ বাক্যবাণ ছুটে আসে
দিশাহীন মৃত্যুর কাছে দাঁড়াই
ক্ষতবিক্ষত হয় এই জন্ম, এই বাঁচার আকুতি
সহিংস প্রলাপে দগ্ধ হতে থাকে দিন
আঁধারের মতো ওরা রাষ্ট্রক্ষমতায় সমাসীন
মানুষ হইনি তবে? শুধু এক সম্প্রদায়?
আর কিছু নয়?
কে শেখালো ধর্ম তবে?
চেতনাহীন পাশবিক বিপ্লবে
এ রাষ্ট্র, এ সভ্যতা পরিচালিত হবে!
কার গুরু তুমি! কী পোশাকে দাঁড়াও
কী ভাষণে ভাসো,নিধনের মশলাপাতি ছড়াও
রক্ত-মাংস চায় তোমার?
আর শুধু মৃত্যু চাও আমাদের?
তবে তাই হোক—মারো—
ঘরে ঘরে পাঠাও তোমার সেনাদের!