মাধ্যমিক - বাংলা
সিন্ধুতীরে
সৈয়দ আলাওল
কবি সৈয়দ আলাওল :
সৈয়দ আলাওল সপ্তদশ শতাব্দীতে বর্তমান বাংলাদেশের ফরিদপুর জেলার জালালপুরে জন্মগ্রহণ করেন। মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যে অন্যতম প্রধান কবি সৈয়দ আলাওল ঘটনাচক্রে আরাকানরাজের অশ্বারোহী সৈন্যদলে নিযুন্তহন।
তাঁর প্রথম এবং শ্রেষ্ঠ রচনা “পদ্মাবতী”। “সয়ফুলমুলুক বাদিওজ্জমাল” প্রধানমন্ত্রী মাগন ঠাকুরের অনুরোধে তিনি রচনা করেন। এছাড়াও তিনি সপ্তপয়কর” “তোহফা”, লোরচন্দরাণী’ প্রভৃতি গ্রন্থ অনুবাদ ও রচনা করেন। পাঠ্যাংশটি তার পদ্মাবতী” কাব্যগ্রন্থ থেকে নেওয়া।
- সিন্ধুতীরে কবিতার প্রশ্ন উত্তর :
- বহুবিকল্পীয় প্রশ্ন
- অতিসংক্ষিপ্ত উত্তরধর্মী প্রশ্ন
- সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর
- ১. পদ্মা কে? সে কীরূপ উদ্যান রচনা করেছিল?
- ২. ‘পঞ্চকন্যা পাইল চেতন’–পঞ্চকন্যা কিভাবে চেতন পেয়েছিল?
- ৩. ‘দেখিয়া রূপের কলা/বিস্মিত হইল বালা/অনুমান করে নিজ চিতে।’—কে নিজের চিত্তে কার রূপের কলা কখন অনুধাবন করেছিলেন?
- ৪. চেতন রহিত কন্যাটির আঁখি, বসন ও কেশের অবস্থা কীরকম এবং কেন?
- ৫. কাকে চিত্রের পােতলি সমা’ বলা হয়েছে? কেন বলা হয়েছে?
- ৬. সখীগণসহ রাজকন্যা পদ্ম কীভাবে অচেতন কন্যার যত্ন নিলেন?
- ৭. সিন্ধুতীরে কবিতা অনুসারে রাজকন্যা পদ্মার সখীপ্রীতির পরিচয় লেখাে।
- ৮. সিন্ধুতীরে’ কবিতা অনুসারে রাজকুমারী পদ্মার রূপপ্রীতির প্রমাণ দেখাও।
- ৯. হীন আলাওল সুরচন৷’ –আলাওল নিজেকে ‘হীন আলাওল’ বলেছেন কেন? তিনি কীভাবে তার কাব্যরচনা করলেন?
- ১০. ‘চিকিৎসিমু প্রাণপণ’-কার চিকিৎসা করা হবে? চিকিৎসার বিবরণ দাও।
- ১১. ‘তন্ত্রে মন্ত্রে মহৌষধি দিয়া’-কার জন্য এই পরিচর্যা? কীভাবে, কারা এই পরিচর্যা করেছিলেন?
- ১২. ‘সিন্ধুতীরে’ কাব্যাংশে সমুদ্রকন্যা পদ্মার কী গুণের পরিচয় পাওয়া যায়?
- ১৩. ‘অতি মনােহর দেশ’ –মনােহর কথার অর্থ লেখাে। এই প্রসঙ্গে মনােহর দেশটির বর্ণনা দাও। অথবা, “অতি মনােহর দেশ”—এই ‘মনােহর দেশে’র সৌন্দর্যের পরিচয় দাও।
- ১৪. “তথা কন্যা থাকে সর্বক্ষণ’–কন্যাটি কে? তিনি কোথায় সর্বক্ষণ থাকেন?
- ১৫. ‘যদি হইল সময় প্রত্যুষ’—প্রত্যুষকালে কী হলাে?
- সিন্ধুতীরে কবিতার প্রশ্ন উত্তর :
- বহুবিকল্পীয় প্রশ্ন
১. ‘সিন্ধুতীরে’ কাব্যাংশটি ‘পদ্মাবতী’ কাব্যের কোন্ খণ্ডের অন্তর্গত ?
ক. দেশযাত্রা
খ. খিলখণ্ড
গ. পদ্মা-সমুদ্রখণ্ড
ঘ. রত্নসেন-সাথীখণ্ড
২. “দিব্য পুরী সমুদ্র মাঝার”-এ নিপতিতা হয়েছিল—
ক. কবি
খ. পদ্মাবতী
গ. রত্নসেন
ঘ. সমুদ্রকন্যা
৩. “কন্যারে ফেলিল যথা…!”–কন্যাকে ফেলেছিল—
ক. সমুদ্রতীরে
খ. রাজপুরীতে
গ. সমুদ্রের মাঝখানে
ঘ. পুষ্প কাননে
৪. দিব্য পুরী সমুদ্র মাঝার।’—“দিব্য পুরী’ বলতে এখানে বোঝানো হয়েছে
ক. রাজপুরী
খ. স্বর্গীয় পুরী
গ. কুৎসিতপুরী
ঘ. পাতালপুরী
৫. “নাহি তথা দুঃখ ক্লেশ…”—কোথায় ‘দুঃখ ক্লেশ’ ছিল না?
ক. রাজপুরীতে
খ. স্বর্গলোকে
গ. মর্ত্যলোকে
ঘ. দিব্যপুরীতে
৬. “সমুদ্রনৃপতি সুতা…।”—সমুদ্রপতি সুতা কে?
ক. পদ্মা
খ. গঙ্গা
গ. যমুনা
ঘ. বেহুলা
৭. সিন্ধুতীরের উপরের পর্বত ছিল—
ক. ঘরবাড়িতে পূর্ণ
খ. ফল-ফুলে সজ্জিত
গ. পশুপাখিতে ভরা
ঘ. জল-মানুষে পূর্ণ
৮. “তাহাতে বিচিত্র টঙ্গি…।”—“টঙ্গি’ হল—
ক. দড়ি
খ. ছবি
গ. প্রাসাদ
ঘ. ফুল
৯. “সখীগণ করি সঙ্গে…।”—সখীদের সঙ্গে নিয়ে পদ্মাবতী কোথায় আসত?
ক. উদ্যানে
খ. রাজপুরীতে
গ. খেলার মাঠে
ঘ. রাজদরবারে
১০. “রূপে অতি রম্ভা জিনি…।”–রম্ভা হল—
ক. পদ্মাবতীর সখী
খ. সতী নারী
গ. স্বর্গের অপ্সরাবিশেষ
ঘ. নারদের স্ত্রী
১১. সমুদ্রকন্যা কীসে রম্ভাকে জয় করেছে?
ক. কথায়
খ. রূপে
গ. অর্থে
ঘ. জীবনী শক্তিতে
১২. “বিস্মিত হইল বালা…।”—বালা কী দেখে বিস্মিত হয়েছিল?
ক. নিপতিতা কন্যার অচৈতন্য অবস্থা দেখে
খ. নিপতিতা কন্যার কুৎসিত রূপ দেখে
গ. নিপতিতা কন্যার রূপের বাহার দেখে
ঘ. নিপতিতা কন্যার চাহনি দেখে
১৩. অনুমান করে নিজ চিতে।” –‘নিজ চিতে’ বলতে বোঝানো হয়েছে—
ক. নিজ মনে
খ. নিজ হাতে
গ. নিজ বুদ্ধিতে
ঘ. নিজ কর্মফলে
১৪. “বেথানিত হৈছে কেশ-বেশ।”–‘বেথানিত’ অর্থে—
ক. বেদনাযুক্ত
খ. অসংবৃত
গ. দৃষ্টিগোচর
ঘ. ব্যথায় নত
১৫. “বাহুরক কন্যার জীবন।”—‘বাহুরক’ শব্দের অর্থ হল—
ক. হস্তদ্বারা
খ. ফিরে আসুক
গ. অবসান হোক
ঘ. বেরিয়ে যাক
১৬. “দণ্ড চারি এই মতে…।”—‘দণ্ড চারি’ হল—
ক. ৬০ মিনিট
খ. ৭০ মিনিট
গ. ৯০ মিনিট
ঘ. ৯৬ মিনিট
১৭. “বহু যত্নে চিকিৎসিতে”–চেতনা ফিরে পেল—
ক. পঞ্চকন্যা
খ. চিতোরের কন্যা
গ. চিতোরের রানি
ঘ. নাগকন্যা
- অতিসংক্ষিপ্ত উত্তরধর্মী প্রশ্ন
১. “কন্যারে ফেলিল যথা…।”–কন্যাকে কোথায় ফেলা হয়েছিল?
উত্তর: কন্যাকে ফেলা হয়েছিল সমুদ্রের মাঝখানে দিব্যপুরীতে।
২. “অতি মনোহর দেশ…।”—কোন্ দেশকে ‘অতি মনোহর’ বলা হয়েছে?
উত্তর: সমুদ্রের মাঝে দিব্যপুরীকে ‘অতিমনোহর দেশ’ বলা হয়েছে।
৩. “তার পাশে রচিল উদ্যান।।”—কার পাশে উদ্যান রচনা করা হয়েছিল?
উত্তর: সমুদ্রতীরে যে-দিব্যস্থান ছিল—তার ওপরে ফল-ফুলে সজ্জিত পর্বতের পাশে উদ্যান রচনা হয়েছিল।
৪. “তাহাতে বিচিত্র টঙ্গি”—কোথাই ‘বিচিত্র টঙ্গি’ ছিল?
উত্তর: সিন্ধুতীরে দিব্যস্থানে যে-সুন্দর উদ্যান—সেই উদ্যানেই ছিল বিচিত্র টঙ্গি।
৫. “তথা কন্যা থাকে সর্বক্ষণ।”—উদ্ধৃতাংশে কার সম্পর্কে কথাটি বলা হয়েছে ?
উত্তর: উদ্ধৃতাংশে রূপকথার সমুদ্রপুরীর সমুদ্রকন্যা সম্পর্কে কথাটি বলা হয়েছে।
৬. “সিন্ধুতীরে রহিছে মাস।।” – উদ্ধৃতাংশে ‘মাঞ্জস’ কথাটির অর্থ কী? তা কীসের জন্য রয়েছে?
উত্তর: উদ্ধৃতাংশে ‘মাঞ্জস’ কথাটির অর্থ হল ভেলা জাতীয় জলযান বিশেষ। এটি সমুদ্রকন্যা পদ্মার যাতায়াতের জন্য রয়েছে।
৭. “অনুমান করে নিজ চিতে।”—কে, কী অনুমান করে ?
উত্তর: সমুদ্রকন্যা পদ্মা নিজের হৃদয়ে অনুমান করে যে, হয়তো কোনো স্বর্গীয় অপ্সরী দেবরাজ ইন্দ্রের অভিশাপে স্বর্গভ্রষ্ট হয়ে মর্তে অচৈতন্য অবস্থায় মাটিতে পড়ে আছে।
৮. “দেখে চারি সখী চারিভিত।” – উদ্ধৃতাংশে কোন্ চার সখীর কথা বলা হয়েছে ?
উত্তর: উদ্ধৃতাংশে মূৰ্ছিতা পদ্মাবতীর চারদিকে যে চারজন সখী অচৈতন্য অবস্থায় পড়েছিল, তাদের কথা বলা হয়েছে।
৯. “বেকত দেখিয়ে আঁখি”—উদ্ধৃতাংশটি কোন কবিতার অন্তর্গত? ‘বেকত | কথাটির অর্থ কী?
উত্তর: উদ্ধৃতাংশটি ‘সিন্ধুতীরে’ শীর্ষক কবিতার অন্তর্গত এবং ‘বেকত’ কথাটির অর্থ হল প্রকাশিত।
১০. “মোহিত পাইয়া সিন্দু-ক্লেশ।।”—কথাটির অর্থ কী?
উত্তর: সমুদ্রকন্যা পদ্মা মূৰ্ছিত পদ্মাবতীকে দেখে অনুমান করেছেন যে, হয়তো সমুদ্রের প্রবল ঝড়ে নৌকা ভেঙে সমুদ্র-ক্লেশে পীড়িত হয়ে অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে আছে।
১১. “বাহুরক কন্যার জীবন।”–‘বাহুরক’কথাটির অর্থ কী? কোন কন্যার জীবন সম্পর্কে এ কথা বলা হয়েছে?
উত্তর: ‘বাহুরক’কথাটির অর্থ হল ফিরে আসুক। অচৈতন্য কন্যা পদ্মাবতী সম্পর্কে এ কথা বলা হয়েছে।
১২. “বিধি মোরে না কর নৈরাশ।।”—উক্তিটি কার? তার এরূপ উক্তির কারণ কী?
উত্তর: উক্তিটি সমুদ্রকন্যা পদ্মার। সে স্নেহপ্রবণ মন থেকে অচৈতন্য পদ্মাবতীর চেতনা ফিরিয়ে আনার জন্য যে চেষ্টা করছে, তার থেকে যেন সে বঞ্চিত না-হয়। চেতনা ফিরিয়ে আনাটাই তার মুখ্য প্রত্যাশা। তাই সে এমন উক্তি করেছে।
১৩. “উদ্যানের মাঝে নিল/পঞজনে বসনে ঢাকিয়া।” –কে, কাদের উদ্যানের মাঝে নিল?
উত্তর: সমুদ্রকন্যা পদ্মার নির্দেশে তার সখীরা অচৈতন্য চার সখীসহ পদ্মাবতীকে উদ্যানের মাঝে নিল।
১৪. “পঞ্চকন্যা পাইলা চেতন।”—পঞ্চকন্যা কীভাবে চেতনা ফিরে পেল?
উত্তর: সমুদ্রকন্যা পদ্মা তার সখীদের নিয়ে অচৈতন্য পঞ্চকন্যাদের বহু যত্নে সেবা শুশ্রুষা করে চেতনা ফিরিয়ে আনল।
১৫. “চিকিৎসিমু প্রাণপণ /কৃপা কর নিরঞ্জন”—এ আবেদন কার ?
উত্তর: ‘সিন্ধুতীরে’ কবিতাংশে এ-আবেদন পদ্মার।
১৬. সখীরা অচৈতন্য কন্যার কতক্ষণ চিকিৎসা করেছিল ?
উত্তর: সখীরা অচৈতন্য কন্যার চারদণ্ড ধরে চিকিৎসা করেছিল।
- সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর
১. পদ্মা কে? সে কীরূপ উদ্যান রচনা করেছিল?
২. ‘পঞ্চকন্যা পাইল চেতন’–পঞ্চকন্যা কিভাবে চেতন পেয়েছিল?
৩. ‘দেখিয়া রূপের কলা/বিস্মিত হইল বালা/অনুমান করে নিজ চিতে।’—কে নিজের চিত্তে কার রূপের কলা কখন অনুধাবন করেছিলেন?
৪. চেতন রহিত কন্যাটির আঁখি, বসন ও কেশের অবস্থা কীরকম এবং কেন?
৫. কাকে চিত্রের পােতলি সমা’ বলা হয়েছে? কেন বলা হয়েছে?
৬. সখীগণসহ রাজকন্যা পদ্ম কীভাবে অচেতন কন্যার যত্ন নিলেন?
৭. সিন্ধুতীরে কবিতা অনুসারে রাজকন্যা পদ্মার সখীপ্রীতির পরিচয় লেখাে।
৮. সিন্ধুতীরে’ কবিতা অনুসারে রাজকুমারী পদ্মার রূপপ্রীতির প্রমাণ দেখাও।
৯. হীন আলাওল সুরচন৷’ –আলাওল নিজেকে ‘হীন আলাওল’ বলেছেন কেন? তিনি কীভাবে তার কাব্যরচনা করলেন?
১০. ‘চিকিৎসিমু প্রাণপণ’-কার চিকিৎসা করা হবে? চিকিৎসার বিবরণ দাও।
১১. ‘তন্ত্রে মন্ত্রে মহৌষধি দিয়া’-কার জন্য এই পরিচর্যা? কীভাবে, কারা এই পরিচর্যা করেছিলেন?
১২. ‘সিন্ধুতীরে’ কাব্যাংশে সমুদ্রকন্যা পদ্মার কী গুণের পরিচয় পাওয়া যায়?
১৩. ‘অতি মনােহর দেশ’ –মনােহর কথার অর্থ লেখাে। এই প্রসঙ্গে মনােহর দেশটির বর্ণনা দাও। অথবা, “অতি মনােহর দেশ”—এই ‘মনােহর দেশে’র সৌন্দর্যের পরিচয় দাও।
১৪. “তথা কন্যা থাকে সর্বক্ষণ’–কন্যাটি কে? তিনি কোথায় সর্বক্ষণ থাকেন?
১৫. ‘যদি হইল সময় প্রত্যুষ’—প্রত্যুষকালে কী হলাে?