জলের মতো কবিতা
দেবযানী কর সিনহা
দেবযানী কর সিনহা
একটু কাটাছেঁড়া করলেই একটু চামড়া ছিঁড়ে
নাড়িভুঁড়ি বেরিয়ে আসলে সে দৃশ্য দেখে
অনেকের মাথার দুপাশ ফুলে ওঠে,মাথার
পেছনে ঘাড় ও মাথার সংযোগস্থলে অসহ্য
যন্ত্রণা হয়,এই যন্ত্রনা হতে হতে মানুষের চেহারায়
গাছের শিকড়-বাকড় এর মত ফুলে ওঠা কিছু
শিরা- উপশিরাদের দেখতে পাওয়া যায়!
কীসের মাশুল,প্রিয় কোল বালিশটা ছুঁড়ে ফেলে
উঠে গান শোনে গজল ঠুংরি,প্রথমে জগজিৎ
অজয় তারপর বড়ে গোলাম আলী মন বসে না!
মিউজিক সিস্টেম বন্ধ করেও খাবলানো ভাবনা
থাকে,পাগল আকাশ এখন বৃষ্টি হচ্ছে বৃষ্টির
শব্দ একটানা, এরপর যে কী হবে হাজার অস্বস্তি
নিয়ে প্রিয় মানুষদের দুঃসংবাদ শুনেও ঘন্টা
খানেক শাওয়ারের নিচে আত্মবিস্মৃত হওয়া।
খানিকটা খাওয়া-দাওয়া সেরে তারপর সিগারেট
ধরিয়ে দুটি ছোট্ট নতুন কবিতাও লিখতে হয়,
হিট হবে এমন কবিতা !জলের মতো কবিতা
লোকে চায়,যা সরল গদ্যের মতো,গেরস্ত নারীরা
বুঝবে সে কবিতা,এতে নেই জটিল প্যাঁচ, গভীরতা! এগুলো কেমন কবিতা হতে পারে একটু ভাবুন আপনারা, প্রকৃতিকে হারিয়ে ফেলা মানুষও কীভাবে কবিতাকে হেঁট করেও ভগবান বনে যায়।একটু ভাবুন আপনারা!