পাহাড়ের পাকস্থলী
দেবারতি গুহ সামন্ত
পাহাড়ের পাকস্থলীতে জমে থাকা চাঁদের অভিমান,
পূর্বরাগের আভাস,এক্ষুনি ফেটে পড়বে জ্বলন্ত লাভায়।
পূর্বরাগের আভাস,এক্ষুনি ফেটে পড়বে জ্বলন্ত লাভায়।
অল্প একটু আদরের ছোঁয়ায় অনুরণিত তীক্ষ্ম চিৎকার,
অনুরাগের রাগ রাগীনি তখন সপ্তসুরে সৃষ্টি করছে রামধনু।
নদীর গর্ভে উথালপাতাল চঞ্চল অভিমানী আগাছাটা,
এককোনে দাঁড়িয়ে হিসেব কষছে সঠিক দিনক্ষণের।
বিশ্রাম নেওয়ার যো নেই,থামলেই মহাপ্রলয়।
ছায়াপথের কেন্দ্রবিন্দু সূর্যের চারপাশে সাত পাকের বদলে,
নিচ্ছে পৃথিবী ইনফিনিটি পাক,
শুভদৃষ্টি হয়ে গেছে সেই কখন।
ধূসর নীল আকাশে ফিনিক্স পাখিটা উড়তে উড়তে যাচ্ছে,
সেই নাম না জানা রহস্যে ঘেরা দ্বীপে,সাত সমুদ্র তের নদীর পাড়ে।
কত কিছু ঘটে যাচ্ছে এই আজব দুনিয়ায়,
এক লহমায় বদলে যাচ্ছে সম্পর্কের সমীকরণ।
পুঞ্জীভূত রাগে ধরছে না ভালোবাসার রঙ,
টকটকে লাল চেরিফলটা দিন দিন কেমন ফ্যাকাশে হয়ে যাচ্ছে।
আমি উদাস দুপুরে জানালা দিয়ে শুনছি ফেরিওয়ালার হাকডাক,
সন্ধ্যেবেলা টিভিতে জমিয়ে ক্রিকেট ম্যাচ দেখব,মুড়ি তেলেভাজা সহযোগে।
বেশ শীত শীত করছে,কেমন যেন শিরশিরানি,
পৃথিবী এখন সূর্যের আংশিক মুখদর্শণ করছে।
হঠাৎ শুনি একটা বিকট আওয়াজ, চমকে উঠি,
পাহাড় তার পাকস্থলী থেকে উগড়ে দিচ্ছে সব জমানো অভিমান।