• দুটি কবিতা
অ জি ত বা ই রী
আত্মাভিমান
গ্রীষ্মের দুপুর শুনশান, ঝলসানো---
এই যে পেরিয়ে যাচ্ছো সাঁকো,
পায়ের নিচে শুকনো নদী, তপ্ত বালি
থেকে গরম হাওয়া উঠে ঝলসে
দিচ্ছে চোখ-মুখ।
লাঠির আগায় পোঁটলা-পুঁটলি
কোনদিকে ভ্রূক্ষেপ নেই;
একা একা দেশান্তরী হবে বলে
সব ছেড়ে দিগন্ত-অভিমুখী।
চলে যাচ্ছো একবারও পিছন না-ফিরে
কারো জন্যে নেই কোনো টান?
নাকি ছিল সুগভীর তীব্র টান---
যেমন থাকে স্তন্যপায়ী শেকড়-বাকড়ের ?
তেমনই ছিল লতায়-পাতায় সম্পর্ক---
জন্মভূমি, বাস্তুভিটে, বসতবাটির সঙ্গে।
তবে কোন্ আত্মাভিমানে সবকিছু
ছেড়ে যেতে চাও ?
আবাদের জমি, প্রতিপালিত সন্তান-সন্ততি
তারা কেউ নয় ? রক্তের সম্পর্ককেও
তুচ্ছ করে যেতে চাও দিকশূন্যপুরে ?
পুণ্যব্রত
যেন নৌকা নিয়ে ভেসে যাওয়া নদীবক্ষে;
এমনই মসৃণ প্রবহমান মাতৃভাষা।
যেন বৃক্ষের ডালে ডালে ফুটে থাকা ফুল;
এমনই আবেগময়,বর্ণোজ্জ্বল মাতৃভাষা।
শরতের ভোরে সিক্ত দূর্বাদলের মতো
আমার হৃদয় ভিজে যায় মাতৃভাষার স্পর্শে।
আমি ভালোবাসা ও অশ্রুর কাছে ঋণী;
সে শুধু পুণ্যব্রত মাতৃভাষার অমোঘ টানে।