আগমনী
• সুনীতা
আসে যদি আসতে দাও ঝড়, আর মুখ লুকোনো নয় বালিতে
আত্মরক্ষার জন্য নয়- ঝড়ের অনস্তিত্বের ভ্রান্তিতেও নয়, কোথাও।
সসাগরা পৃথিবীর সবটুকুর নিঃশেষ দাবি তো রাখে নি,
উচ্চকিত গলায়– পাড়ার মোড়ে মাইক বাজিয়ে,
চাঁদোয়া টাঙিয়ে, মঞ্চ গড়ে কোন অপ্রাপ্তি জানায়নি।
দাবি ছিল দু’বেলা পেটে-ভাতে, কাপড়ের বিলাসিতা নাই বা হল তাতে
তবু কুযুক্তিতে ভরে গেল সকাল-সন্ধ্যা, টিভির পর্দা,
কাগজের পাতার প্রথম থেকে শেষ, বেতারের জাগরণি অবধি প্রাতে
টেবিল চাপড়ে শুনিয়ে গেল সবাই পরস্পরকে
কত ঋণ জমা হয়ে আছে সাধারণের খাতে।
দিনরাতের সহজতর মাত্রাভেদ, অঙ্কে মেলানো বিষম দায়,
অগত্যা, হলুদ বা সস্তা চীনা সাদা আলো
দেওয়ালে ছোপ, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রক সংখ্যায় বেড়ে যায়।
সরগরম মহল্লা, সপ্তাহান্তে লাইনে এসে যায় :
থলেতে পুরে নিতে নিবারণী ডোল
কোন অভিযোগ তো সত্যিই নেই,
চাল, জল বা বৈদ্যুতিক অপরিমিতি, কম-বেশি জ্বালানী –
পাল্লা দিয়ে ছুটে তবে ফোটে বলকানো বোল!
ঝড় যদি আসে, প্রতিবার; আসুক অনায়াসে :
অন্ধ সঙ্গতই বুঝে নেবে কি তার দিন, কি বা তার রাতি।
• অলঙ্করণ : জয়ন্ত মন্ডল