যেদিকে তাকাই
• রত্নদীপা দে ঘোষ
১
আমার জেটি আমারি দ্বীপপুঞ্জ, কোনটাই লুকোই না।
মায়াবন্দরের অলৌকিক প্রপেলার দিই শান অনন্ত ছায়াবিকাল
পাতার পোশাকে চকচক করে দিস্তা দিস্তা আন্দামান
পথচলতি আমাকে শেখাই ইন্দিরাপয়েন্ট ! বলি, সামহালকে! ধীরে চলো হে ...
আরেকটু এগোলেই চূড়ান্ত ভিনিভিসি ! নারিকেল ফুলের লবন ! গরম কোরাল !
পরমতরীতে মুখ ঘষে এক সেলুলার জেলে। আমাকে সাঁতারের ঋকবস্ত্র শিখিয়ে
ঘনঘন রঙের আইল্যান্ড ঝরে যায় পোর্ট ব্লেয়ারে
২
জলনিখিল উপত্যকা সমূহ পাহাড়িয়া বিদ্যুৎ বিপুল রোশনি
যে নেই কোথাও এইসব তাঁরই, দৃষ্টি আর চোখের ম্যাজিকসংগ্রহ
চূড়ান্ত বায়স্কোপটি আমাকে সিনেমা পড়ায়, শেখায় চলচ্চিত্রের ভূগোল
ফুটবো-ফুটবো করে লেখা করি আবেগ-কম্পিত ছবিআঁকা ড্রয়িংফুল
একটি একটি করে পাপড়ি মেলে আমার মস্তিষ্ক, প্রতিটি ভুলকে বলি
আলোকিত হও, এ শুধু তোমার একেলার জীবন নয় গো
আমাদের দ্বৈত জিন্দেগীও বটে !
শোক বা দাহ যা কিছু চাঁদের সৌরধ্বনি, সবটুকু সে আর আমি।
প্রতিটি উড়ন্ত পক্ষীসংসার তাঁর আর আমার কিচির আর মিচির।
• অলঙ্করণ : জয়ন্ত মন্ডল
খুব ভালো লাগলো আপনার কবিতাটি । এই পোর্টালে আগেও আপনার লেখা পড়েছি ।
উত্তরমুছুনসাহিত্য চর্চার উপযুক্ত একটি পোর্টাল ।