চোর পুলিশ, পাঁকাল মৎস ও সস্তা ভেলভেটের জুতো
দেবযানী কর সিনহা
***
যে পথ ধরে ফিরে যাবে তার দুপাশেও নদী
থাকবে, নদীর গায়ে ঘাসজমি আর উড়ে বেড়ানো হলুদ ফড়িং, আমাদের জটিল সময়ে সূর্যের গায়ে অশ্রুর ছিটে, উষ্ণতা বেড়ে গেলে
আত্মহত্যাপ্রবণ মানুষ পুড়ে যায়, চৌকি চুরমার হয়, আদিমতা বেড়ে গেলে চোরপুলিশ খেলে
সদ্য বিয়ে করা যুবক রোজগারের জন্য ব্যস্ত হয়।
ওভারব্রিজ পেরিয়ে গেলে দেখতে পাবে গভীর শান্ত নদী, নদীকে অধিকার করে আছে নৌকো কিছু, আলো যেন পিছলে পিছলে যায়, সোনালী নদী দেখে কি ভাষা ফুটবে না? যাও গিয়ে জাপটে ধরো প্রেয়সীকে, নদী সরে গেলে পলি জমে তোমার চোখকে অসুখী করবে,অসংযমী শিল্পীর যেমন হাতে ধরা পাঁকাল মৎস, তুলতুলে তবু কেটে কুটে একাকার।
তুমি অনুতপ্ত হয়োনা, অভিমানী হয়ে সরসর করে নেমে পড়বেনা খাদে, ডিগবাজি দিলে মেধা চৌচির, সে স্থান প্রেমিকার ! কমনীয় প্রশ্রয়? না গ্রামের হাটে পাওয়া সস্তা ভেলভেটের জুতো, পাইনের ব্যথা বুকে কাঁটা তুমি তাতে রক্ত মেশাও, সজাগ সতর্ক কিনারে দাঁড়িয়ে অপেক্ষমান, রাতভর কসরত, হাতে রক্তের ছাপ এখনো হাতে নিয়ে ঠায় দাঁড়িয়ে খণ্ডিতা, খলিল বাণী,ওই দেখো গৃহ বানায় ঘরামি উড়ে যায় খড়কুটো জিভ নিয়ে টানাটানি জিভে আঁশটে স্বাদ, কেন? মৃত্যুতে কৃপণ হও জঙ্ঘায় দুর্বল,পেঁচিয়ে ধরে আঁচল টেনে ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলো এইবেলা।
অনবদ্য
উত্তরমুছুন