কবি বিদ্যুৎ ভৌমিক |
কবি বিদ্যুৎ ভৌমিক
এই সময়কার অতি জনপ্রিয় কবি হিসাবে অন্যতম কবি হলেন , বিদ্যুৎ ভৌমিক । জন্ম পশ্চিমবঙ্গের হুগলী জিলার ঐতিহাসিক শহর শ্রীরামপুরে ১৯৬৪ সনের ১৬ই জুন । পিতা ঈশ্বর পীযূষ কান্তি ভৌমিক , মাতা শ্রীমতী ছায়ারাণী ভৌমিক । বাংলা সাহিত্যের একজন প্রখ্যাত কবি হিসাবে তাঁর স্থান এখন পাঠকদের মনে ও অন্তরে । পৃথিবীর প্রায় ৪০ টা ( চল্লিশটা ) দেশের পাঠক এখন একবাক্যে কবি বিদ্যুৎ ভৌমিক এর কবিতা পড়েন এবং তাঁর সৃষ্টি নিয়ে আলোচনা করেন । কবি সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের খুবই প্রিয় কবি ছিলেন কবি বিদ্যুৎ ভৌমিক । কবি~বিদ্যুৎ এর কবিতার সংখ্যা প্রায় ১৫ হাজার । কবিতার পাশাপাশি শিশু ও কিশোর সাহিত্যে তাঁর অবদান অনস্বীকার্য । তাঁর বেশকিছু গ্রন্থ এই মুহূর্তে বেশ জনপ্রিয় তারমধ্যে 'কথা না রাখার কথা', 'গাছবৃষ্টি চোখের পাতা ভিজিয়ে ছিল ', 'নির্বাচিত কবি', 'নীল কলম ও একান্নটা চুমুু' ইত্যাদি । ইতোমধ্যে প্রচুর খ্যাতি ও পুরষ্কার তিনি কবিতা রচনার জন্য পেয়েছেন । তবে কবি বিদ্যুৎ ভৌমিক মনে করেন , মানুষের ভালোবাসা-ই তাঁর কাছে এক মাত্র শ্রেষ্ঠ পুরষ্কার ।
এই সময়কার অতি জনপ্রিয় কবি হিসাবে অন্যতম কবি হলেন , বিদ্যুৎ ভৌমিক । জন্ম পশ্চিমবঙ্গের হুগলী জিলার ঐতিহাসিক শহর শ্রীরামপুরে ১৯৬৪ সনের ১৬ই জুন । পিতা ঈশ্বর পীযূষ কান্তি ভৌমিক , মাতা শ্রীমতী ছায়ারাণী ভৌমিক । বাংলা সাহিত্যের একজন প্রখ্যাত কবি হিসাবে তাঁর স্থান এখন পাঠকদের মনে ও অন্তরে । পৃথিবীর প্রায় ৪০ টা ( চল্লিশটা ) দেশের পাঠক এখন একবাক্যে কবি বিদ্যুৎ ভৌমিক এর কবিতা পড়েন এবং তাঁর সৃষ্টি নিয়ে আলোচনা করেন । কবি সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের খুবই প্রিয় কবি ছিলেন কবি বিদ্যুৎ ভৌমিক । কবি~বিদ্যুৎ এর কবিতার সংখ্যা প্রায় ১৫ হাজার । কবিতার পাশাপাশি শিশু ও কিশোর সাহিত্যে তাঁর অবদান অনস্বীকার্য । তাঁর বেশকিছু গ্রন্থ এই মুহূর্তে বেশ জনপ্রিয় তারমধ্যে 'কথা না রাখার কথা', 'গাছবৃষ্টি চোখের পাতা ভিজিয়ে ছিল ', 'নির্বাচিত কবি', 'নীল কলম ও একান্নটা চুমুু' ইত্যাদি । ইতোমধ্যে প্রচুর খ্যাতি ও পুরষ্কার তিনি কবিতা রচনার জন্য পেয়েছেন । তবে কবি বিদ্যুৎ ভৌমিক মনে করেন , মানুষের ভালোবাসা-ই তাঁর কাছে এক মাত্র শ্রেষ্ঠ পুরষ্কার ।
পরিচয় লিখনে ডঃ আদিত্য বসু
৭০'- দশকের কবি বিদ্যুৎ ভৌমিক এর একগুচ্ছ কবিতা প্রকাশ হল :
নষ্ট শরীর
***
এক ফোঁটা
বৃষ্টি পাতে আকাশ শূন্য হবে ; ভাবলে কী করে ?
প্রেম প্রহরে নষ্ট হয়ে-হয়ে ঘুম বিছানায় জ্যোৎস্না এনে ধরো—
বুকের ভেতর স্বপ্ন খনি থেকে হাজার হাজার সুখ আনবো
কিনে !
এইবেলা আমিও কিন্তু নগ্ন হব , নতুন নতুন
আবেগ নিয়ে গড়বো বসে হাজার নারী ; প্রেম প্রতিমার আগুন
টুকু নষ্ট দেহে পুড়িয়ে দেবো !
এই হাত থেকে রেহাই পেতে তুমিও তো বিপরীতে হাঁটছো !!
মন বিক্রি
***
শেষে এসে একবারেই ভুলে গেছি
আমিও-তো কথা বিক্রি করতে এসেছি পদ্যপাড়ায় !
ঘরের মধ্যে নির্ঘুম রাত, কবিতার পৃথিবী জুড়ে ভাসমান আমি—
অথচ এই ঘরে আটকে আছে মন খারাপের কিছু আসবাব !
চেনা রাস্তার পাশে অচেনা এক জন ; সে-ও বিক্রি করতে
কথা ফুল আর কিছু কিছু আরাম ও সুখ
তবুও অন্যের সাথে পথ চলে গেছে আঁকাবাঁকা ঢঙে ...
সেই কারণেই আমি আমার নিজের ভেতর থেকে বেরিয়ে
আসতে পারছি না !
অথচ পাথরের ঢাকনা খুলে সূর্যদ্বয় দেখি একাএকা !!
ধ্রুম্রনীল এবং ঈশ্বর
***
বেশ বুঝতে পারছি ; এখানে ঈশ্বর লুকিয়ে আছেন
মন চাপা বেমালুম ভুলে
হৃদয় নিয়েছে ডেকে, — এটাও ঠিক অদেখা এক বিভ্রম !
শব্দের ভিতর শীতল স্রোত নেমে এলে কবিতার কাছে আমি
অচেনা হয়ে যাই ...
বেশ টের পাওয়া যাচ্ছে
আকাশ পাখিদের রাত পর্যন্ত উড়ে চলা নির্ঘুম অহর্নিশ —
শেষ পর্যন্ত এই পাতাটি তোমার জন্য তোলা থাক, যদি না তুমি
আমার কাছে হার মানতে নারাজ থাকো !!
নবনীতা এবং উনিশ বছর
***
নবনীতা বললো ; এতদিন তোমার সাথে মিথ্যে-মিথ্যে খেলা
করেছি ! প্রেমের প্রলোভন এবং প্রতারণা দুঃখ প্রসবের জ্বালা
ধরায় ! দুহাতে বৃষ্টির দাগ নিয়ে শ্রাবণ সন্ধ্যায় তার কাছে ঘুরে
আসা এমনই নিয়মে
সেই থেকে উনিশ-টা বছর , নিঃসঙ্গ পথিক হয়ে ঘোরা—
সেই থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত নিজের কবর খুঁড়ে দেখে
নেওয়া ; আমি বেঁচে আছি — তো — ?
মন নষ্ট হয়ে গেছে কবে , ভ্রান্ত ভাস্কর্যের ভেতর এক-একটা
মৃত্যুর চিহ্ন ; চুম্বন এবং দুঃস্বপ্ন পৃথক পৃথক নতুন ছবি যেন,
তবুও আমি প্রহর গুনে চলি নিশাচর-নির্ঘুম হয়ে !
নবনীতা কী আসবে !!
হৃদয়তান্ত্রিক কবিতা
***
এই আলোর বন্যায় ভাসমান আমি
যদি তুমি একবার আসো এই পথে ; আমি কী বাসবো ভালো
চিহ্নহীন সময় প্লাবন ?
কথা মুখ খুলতে গিয়ে দেখা হবে নতুন অক্ষর ,
সাতশো বছর ধরে এই আমি অতলে ভাসছি , — ভেতরের যত
কথা বলতে পারিনি একবারও ;
মন ভ্রমণের পথ ধরে হেঁটে হেঁটে হেঁটে ভা-লো-বা-সা ফুরিয়ে
গেছে কবে , সেটাতো মেলাই-নি একবারও !
হাত থেকে ফসকে গেছে পৃথিবীর সমস্ত প্রেম ;
কবিতাকে উপজীব্য করে আমি যেন অন্য চেহারা নিয়ে বাঁচি ! !
কাক ও কবিতা
***
এক পাগল কাক প্রতিদিন শীতের রোদ্দুরে বাংলা আকাদেমি
চত্বরে তারস্বরে কবিতা বলে চলে —
তাই দেখে দৈনন্দিন ছড়াকাটা কিছু আঁতেল শালিক
পোশাকী ভব্যতায় ওই পাগল কাকের দুর্বার কবিত্ব নিয়ে
ইতিউতি পরস্পর মুখ চেপে হাসে–
তারপর উড়ে যাবার ইচ্ছা হয় ওই পাগল কাকটার ,
অথচ ওর ডানা ভারী হয়ে ওঠে ...
সহজলভ্যতা একটা নিশ্চল শামুকের মতো শুঁড়ের ডগায়
দুটো চোখের শান্ত চাহুনি নিয়ে লিখিয়ে নেয়
অসীম আকাশের ইতিহাস !
পরক্ষণে পক্ষকালের সূর্য হারিয়ে ওই কাক অন্ধকারে আর একটা
কবিতা লেখার পৃথিবী তৈরি করার স্বপ্ন দেখে
মৃত চোখের স্থির বিজ্ঞাপনে !!
একটা সমমনা কবিতা
***
দেখ পাথর প্রতীক্ষা ক'রে আছে ; কি শুনতে চাও ওর
স্মৃতিছুট কান্না ? চোখের মলাট খুলে খুঁজে নাও অবিনশ্বর
গম্ভীরতা !
দেখ নষ্ট চিন্তা রক্তে ভিজে কবিতাগুলো একে-একে
তিন টু-ক-রো হয়েছে ...
কেউ পূর্ণতায় ভাঙতে চাইছে
মাধ্যাকর্ষণের প্রোদ্ভিন্ন আদালত !
দেখ শ্রাবন্তীর বুকের কাঠামো বিবর্ণ খয়েরী, —
পাথর চেয়ে আছে ঘর মিছিলে ...
সরল ঠোঁটের মধ্যে ঝুলে আছে মৃত্যুর আইন ~
পথে পথে, রাস্তায় রাস্তায় স্বপ্নের সম্ভাষণ ছুঁয়ে দেয় ভ্রূণের
অন্তর্গত পরিবর্তন ...
দেখ সত্তার সংগ্রামে প্রতিবাদী হয়েছে ঈশ্বর !!
কবি বিদ্যুৎ ভৌমিক-এর মৃত্যু চেতনা নির্ভর
একটি ভিন্নসাদের ধ্রুপদী দীর্ঘ কবিতা
পাঁচ আঙুলের ছাপ লাগে স্বর্গের অলিন্দে
ক
পাশের চেয়ারে ধ্যানব্রক্ষ্মে গভীর আরক্ত
কোথাও কী তপস্যা ভাঙার মন্ত্র হৃদয় ফুরিয়ে স্বপ্ন বদল করে
এই দু’হাত বুকের মধ্যে স্মৃতি ছুঁয়ে দেখে ; পাঁচ আঙুলের ছাপ লাগে স্বর্গের অলিন্দে ...
প্রতিদিনের অসুখ চরিত্র পতনের শব্দ শুনতে - শুনতে চেনা রাস্তা
দিয়ে ফিরে আসে ! এই তাপ যেমন গভীর ; ঠিক সেরকম অপ্রমেয়
উপমাহীন । তবুও কোথাও লুকিয়ে হারায় মন পোড়ানোর কৌশল
পাশের চেয়ারে অশরীর ক'রে রেখেছে আমায় —
এখানে স্মৃতি নষ্ট হতে - হতে দৃষ্টিও ভুলে যায় !
কেউ একজন অন্ধকার সিঁড়ির কাছে চিরঋণীর মতো চেহারায়
নিঃশব্দে দাঁড়িয়ে আছে ! অথচ ভালোবাসা মৃত্যু সইতে পারেনা ;
এক বেলাও !
খ
যদিও বৃষ্টির দিনে কিছু অসংলগ্ন ভুল
আমাকে সঙ্গে নিয়ে ভেসে গেছে মধ্যরাতে মায়া আকাশে
চিরজীবনের স্রোতে স্বভাবতই নদীর মত শব্দ ওঠে —
কথা ছিল, এখানে নবনীতার সঙ্গে চোখ বন্ধ করে ডুবে যাব,
ভেসে যাব সোহাগ নদীতে ! তবুও তো ভেতরের সব ঢেউ
দেবতার মত নিরাকার ...
এসবের মধ্যে বহুকালের ঋণ দয়া চায় ক্ষমতা চায়
ভ্রাম্যমাণ দুঃখের ভেতর —
পাশের চেয়ারে একাকীত্ব আঁধার পেতে বসে আছে
চিরকালীন স্বপ্নে সাক্ষী থাকা সহস্র ছায়ারা অঘমর্ষী
এভাবে সমস্ত দিক থেকে বহতা স্তব্ধতা মুকুটহীন রাজার মত
বসন্তে জ্বলে ওঠে !
এই চেয়ার থেকে অবিশ্বস্ত হুল্লোড় শুনতে শুনতে
বাকি পথ মন্দ ভাগ্য নিয়ে ভ্রাম্যমাণ !
যদিও বৃষ্টির দিনে কিছু অসংলগ্ন ভুল
আমাকে সঙ্গে নিয়ে ভেসে গেছে মধ্যরাতে মায়া আকাশে
চিরজীবনের স্রোতে স্বভাবতই নদীর মত শব্দ ওঠে —
কথা ছিল, এখানে নবনীতার সঙ্গে চোখ বন্ধ করে ডুবে যাব,
ভেসে যাব সোহাগ নদীতে ! তবুও তো ভেতরের সব ঢেউ
দেবতার মত নিরাকার ...
এসবের মধ্যে বহুকালের ঋণ দয়া চায় ক্ষমতা চায়
ভ্রাম্যমাণ দুঃখের ভেতর —
পাশের চেয়ারে একাকীত্ব আঁধার পেতে বসে আছে
চিরকালীন স্বপ্নে সাক্ষী থাকা সহস্র ছায়ারা অঘমর্ষী
এভাবে সমস্ত দিক থেকে বহতা স্তব্ধতা মুকুটহীন রাজার মত
বসন্তে জ্বলে ওঠে !
এই চেয়ার থেকে অবিশ্বস্ত হুল্লোড় শুনতে শুনতে
বাকি পথ মন্দ ভাগ্য নিয়ে ভ্রাম্যমাণ !
গ
কোনো কিছুর জন্য ভুলতে পারি কী তোমায়
মনে - মনে ভেতর গর্ভের শরীর চিনি, — বুকের মধ্যে নীল জ্যোৎস্না কবিতার মতো প্রিয় প্রতিবেশী *** এই অন্তরীক্ষ যেখানে প্রতারক
স্মৃতিরা রাতের জন্য চোখ বুজে অপেক্ষায় থাকে অহর্নিশ একটানা ! এদের সবাই মানুষ সেজে থাকতে চায় ,
শেষ পর্যন্ত এদের কারণে আমার নিঃসঙ্গ গোটা রাত জাগা !
কোথাও ভাসমান ভাবনায় অতিরিক্ত অবিশ্বাস মেখে থাকে মায়াময় একশটা আহত শোক ...
এই চেয়ারে ঐশ্বরিক কেউ বোসে না থাকলেও ; কেউ একজন
মৃত্যুর মত স্থির হয়ে ঘুমিয়ে থাকে স্মৃতি বিছানায় —
কোন কিছুর জন্য ছাদের কার্নিস থেকে ছুঁড়ে ফেলে দেইনি তোমার অজস্র অক্ষর মালা ! অথচ এরকম অনন্ত অসুখ অবলা নিরীহ
ছিল সতেরো বছর !
ঘ
সমস্ত ব্যর্থতা অসহবাসের চেয়ে কঠিন ও কঠোর - ভীষণ ধারালো
তবুও স্তব্ধ দাঁড়িয়ে থাকতে দেখি আমার ছায়াকে সতেরো বছর !
সেও দুঃখে ও শোকে নির্ঘুম ঋণী হয়ে আছে ****
এই জানলা দিয়ে চাঁদ এসে বিছানায় সারাদিন ঘুরছে - ফিরছে
কাঙালের দীর্ঘশ্বাস তবু নিঝুম বিষণ্ণ, — সমস্ত স্বপ্নগুলো প্রবল
বৃষ্টিতে ধুয়ে যেতে - যেতে যাবতীয় ইচ্ছার ভেতর মরে পচে গেছে ।
শেষ একবার নিভৃতে চলে এলে অস্তিত্ব নিজের হৃদয়ে
একলক্ষ বার পদাঘাত করে !
শেষ একবার সহজ সত্যে প্রতিপ্রশ্ন ছুঁড়ে দেই মৃত্যুঞ্জয়ী দর্পণে ;
আমি কী মরে যাব ? আমি কী পাখি - ফুল - ফল, অনেক কিছু
হব ? কি জানি মন-তো ব'লছে না সেই কথা !
ঙ
সবটাই অমোঘ দোষ ; অধরোষ্টহীন কান্নায় ভাসে জল ছোঁয়া রোগে এক - একটা দুঃখ ; আমি ওদের ভালোভাবে চিনি, —
এই আধোজাগা সময়ে সেই চেয়ার এককালের স্পর্শে
অতল প্রেমহীন ! চোখের কাছে অচেনা কিছু চোখ ; আজব দর্শক
অন্ধকার রাতে মাথার কাছে ওরা কেউ কেউ শ্বাসকষ্টে কাঁপে —
এখানেও ক্ষমা চাওয়া চোখ বুজে অনুসরণ কবিতা পংক্তি ধরে
এখানেও মনের ভেতর জেগে ওঠে দীর্ঘকার ছায়া
অর্ধেক নিঃসঙ্গ এবং নিঃশব্দে নীরব ভিন্ন এলোমেলো !
তাকে নিয়ে ভাবা বিশ্ব - ভুবনময় , ওকি মৃত্যু ; নাকি অন্তরীক্ষে
স্মৃতি ছবি মেলে ধরে অনাদিকালের প্রোজেক্টারে !
এই চেয়ারে পৃথিবীর সব দুঃখ একাই পেতে - পেতে
সিংহাসন হয়ে আছে ;
অথচ আঙুলের কড় গুণে মৃত্যু দিন ভাগ হয়ে গেছে
চ
ত্রিভাঁজ সময়, বুকের ভেতর কথাপাখি ; যেন নিভৃত প্রহরী
ঘরভর্তি মিশে যায় নম্রতার বিবর্ণ ধুলো
কেউ অবিশ্বস্ত, কেউ কেউ বিপরীতে বিরল প্রজাতির ছায়া
খুঁটে খায় ! ওই রাস্তায় চোখ বাঁধা কঙ্কাল হাঁটে বারমাস, —
ওদেরকে চিনি, ওরা রাতে আঁধারে জাদুঘরের আলো নিভিয়ে দেয়
রোজ । কী রকম গুণ টেনে উল্টে যায় দরাজ শিহরণ
তবুও যে রাস্তায় - রাস্তায় আকাশ ভাঙা মেঘ লীলাময় কান্নায়
রাতের জ্যোৎস্না ভেজায় —
এটাতো এই চশমায় স্বপ্ন জাগাতে চেয়ে ছদ্মবেশী গুপ্তচরকে বিছানা থেকে তুলে অলঙ্কৃত আদিখ্যেতার মলম লাগিয়ে দেয়
অতলান্ত ক্ষতে ! এই চেয়ারে বহু শতকের মায়াময় কৌতুক একজন কবির রহস্যময় শোকে প্রেত ও ঈশ্বরের স্পর্শে জন্ম ঋণের ফর্দ নিয়ে জেগে থাকে !
এই বিভাগে লেখার জন্য নিচের লিংকে ক্লিক করুন
লেখা জমা দিন
Tags:
আজকের কবি