কবি রত্নদীপা দে ঘোষরত্নদীপা দে ঘোষ। জন্ম ১৯৭২, কোচবিহার। পড়াশুনো যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। বর্তমানে কর্ণাটকের বাসিন্দা।কলমের কুয়াশায় ভিজে ভিজে কী যেন খুঁজছেন। প্রবন্ধ? গদ্যেভোর ? নিসর্গে-দেরাজ ? পিলসুজ-পাখি যারা আজো সঠিক সুরে আকাশকে ব্যবহার করতে পারেনি, তাদের ? নাকি কবিতা ? অথবা কবিতার মতো দেখতে অন্যকিছু ? শতচ্ছিন্ন স্মৃতি ? কোলাহল দোপাটি ? হয়ত নিজেকেই। অথবা অন্য কাউকে। খোঁজাখুঁজি চলছে হন্যে হয়ে। এই হন্যেটুকুই রত্নদীপা ।{alertSuccess}
{tocify} $title={সূচীপত্র}
কবি রত্নদীপা দে ঘোষের একগুচ্ছ কবিতা প্রকাশ হল :
১
এক এক কোরে আনন্দের রূপগুলিকে দ্যাখো অর্জুন।অরুন্ধতি কেমন আনন্দে টগবগ। অই যে বশিষ্ঠ চির আনন্দিত শ্লোকরাজি। অগ্নি স্বাহা। প্রাচীনা সমুদ্রের পর্দাপ্রথা । যেমন আনন্দে শস্যমাঠ তুষারের বীজ আনন্দের গরদ।
প্রবাহিত অই মৃগশিরা মেঘে মেঘে রচিত বসুন্ধরা। ঠোঁটের পাশে বসে আছে মহানন্দের মৃগনাভি।
মনোহর চোখ জেনে গেছে বয়ে যাওয়া জলে কতখানি সার জল আর ফিনফিনে আনন্দের মাটি। আনন্দ এক এবং একাধিক। জানো অর্জুন, আমিও আনন্দে। ততধিকের অন্তরীক্ষ। সানন্দে এগিয়ে যাচ্ছি পরবরতি অধ্যায়ে।
এই আমার প্রথম আনন্দের দ্বিতীয় স্বীকারোক্তি ...
২
রাত্রিযাম থেকে বেরিয়ে আসে বিশ্বমহা। পুঞ্জিত খেলাঘর, ফুলের দ্যুতি আঁকা।‘ ফুলের গায়ে অভিশাপ লাগেনা মানুষের। মানুষই ঝুরঝুর, ঝরে যায় ফুলবাহিত রোগে’
কে যেন ঘোষণা করে
কথাবলা মুখস্থগুলি তাঁর অন্তরবর্ষণের বার্ষিকীফুল। পদ্মকমলের কমলা হাসিতে আচ্ছন্ন।
মাধবীলতার কোণে এক দফা বকুলবেলা। আলো থেকে অদিতি, সহস্র কৃষ্ণধারায় তাঁরই হাত ধরে ঘরে ফেরা
‘মানুষ আসলে নবমীর চাঁদ। ঝুরঝুর ঝরে যায় ফুলের অস্ত-উপত্যকায়। ফুলের গায়ে মানুষের অভিশাপ লাগেনাকো’
কে যেন ঘোষণা করে
৩
মানুষ কাঁদছে। একবারটি দাঁড়ালে না মানুষের পাশে।সন্তান কাঁদছে বৃত্তাকারে, ক্ষুধার বাসিমুখ। দুধের কাঙাল।
বুকের বোঁটাখানি ছোঁয়ালে না প্রাণে।
মাটির ব্রেসিয়ার, দুধভাতের কুঠুরি। দরজাটি খুলে দিলেই হয়, দিলে না!
আশিসবাণী ছোঁয়ালে না এ জন্মে। মানুষ কাঁদলো হৃদয়ে আঙুল জড়িয়ে
হাত তো সামান্য আঙুল, তাও ধরলে না হে হৃদয়-হরণ !
৪
চরিত্র পরীক্ষার সময় প্রথমে খুলে দেওয়া হল আমার ‘ফ্রিডম ‘ লেখা টি-শার্ট( গড়িয়াহাট থেকে কেনা , একশো টাকা এক জোড়া )
কালো ব্রেসিয়ার ফুঁসে ... বিপ্লবে ? বিদ্রোহে ?
আমাকে ঘিরে যারা দাঁড়িয়ে ছিল তাদের মধ্যে বেশ ক’টি শিশুও ...
তারা হাততাতলি দিয়ে উঠলো পাহাড় ... পাহাড় ...
আর তাদের বাবারা, যারা আমার সতীত্ব পরীক্ষা করছিল
তারা প্রত্যেকেই চুষতে শুরু করলো দার্জিলিং ...
হাত নেমে এলো কোমরে, ছিন্ন করা হল বেল্ট
ঝুরঝুর ঝরে পড়লো জিন্স, হাল্কা ব্লু প্যানটি খুলে দিল মুখ
মুখের ভেতর গাছ ভর্তি মিষ্টি মিষ্টি খোবানি
শিশুরা চিৎকার করে উঠলো খেজু ... র ...
আমরাও খাবো খেজুর
এক হাত শিশুর মুখ চাপা, অন্য হাতে মুখের ভেতরে বল্লম জ্বেলে দিল বাবা
পরবর্তী ক্যানভাসে আমার আদলে একটা সাদাবিমান আঁকা হয়েছিল ।
কাঠের ওপর তেলরঙ প্রেক্ষাপট দীপলাল “ওম্যান উইথ হার ফায়ার works’
৫
গৃহস্থ যখন সন্ন্যাসের পথে পা বাড়ায়, মেঘ ডাকে বাজ পড়ে। বৃষ্টিতে ঘন হয় অতল একতারায়।সৃষ্টির কাপাস উপচানো শালিখদল, গান সাধে সাধক রাখাল
বাহির ঘর উজ্জ্বল বিশদ, শুরু হয় ভুবন ভিত্তিক অন্তরের উৎসব
গৃহস্থ সন্ন্যাস নিলে, দৃশ্য জুড়ে ভিয়েন বসে। সুজাতার রন্ধনশালায় ঝিকমিক করে তারার পায়েস
৬
নারীশরীরের যে অংশ ধ্রুব, তিনিই মাই। তীব্র সনাতনী রঙওয়ালা সুপ্রিমো।রোশনির আঁধারে প্রখর সূর্যোদয় উড়িয়ে, পুরুষকে ভাসিয়ে একেবারে সোজা বিধাতার রানওয়ে চাখিয়ে
তপস্যার জড়িবুটিতে বারবার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে, চূড়ান্ত টেকনাফের চূড়ায় পৌঁছিয়ে,
এই বিশ্বনিখিলকে দিকশূন্য ঘোষণা কোরে
এমনকি যোনিমুখে ব্রহ্মসঙ্গীত নাচিয়ে একসা কোরে
এমতাবস্থায় (পুরুরাজ উঠে দাঁড়ায় যদি, আলেকজান্ডার করবে কী)
$ads={1}
৭
সাত শতাংশ প্রাণায়াম আর তিন ভাগ পুষ্টিকর চাঁদ। এই নিয়ে দশ মাস দশ দিন।আপনার আর আপনার সন্তানের যৌথ আনাজপাতি, ঘরোয়া রান্নার অসীমাকাশ।
এইসময় ক্রোধ একেবারেই ‘না। শুধু ক্ষমা।
মনে রাখবেন, ক্ষমার চাইতে আন্তরিক ত্রিপিটক আর নেই। সময় পেলেই তাকে শোনাবেন আশাবরীর দ্যুতি। বলবেন, এই পৃথিবী আসলে নন্দন-কানন। মৃগশিরার মুরতি। অবশ্যই গান আঁকতে শেখাবেন তাকে। আর কয়েকটি মহৎ ভাস্কর্য, তথাগত অমনিবাস।
জানাবেন, কপিলাবস্তুমুখী প্রতিটি ধ্যান আসলে তপস্যার অশ্রু মাখামাখি ঈশ্বরের আবাস।
গর্ভ এখন অপার আলোর সঞ্চারী। অলস ডাকঘর বইছে জানালায়। সময় কাটছে না, তাই না? তাহলে লিখে ফেলুন আপনার সন্তানের জন্যে একটি না-লেখা দোলনা।
লিখুন অতীত সঞ্চয়ের তহবিল, নদীতীর নির্মাণ। পাঠশালা প্রশ্নপত্র, আপনার স্কুলবন্ধুদের ডাকনাম। শিশুবেলার বকবকম, তাকে শোনাতে পারেন দুষ্টুস্মৃতির টিফিনবাক্সো। লিখতে পারেন আপনার ঠাকুমার বয়ামখানি, জল্পাইদুপুরে আচার চুরির গুপ্তরহস্য।
অবশ্যই লিখবেন বৃষ্টি, বিদ্যুৎ এবং বিশ্বাস। অপরামগ্ন নীরবতাই যে প্রকৃত সাধক এবং সন্ন্যাস, তাকে জানাতে ভুলবেন না।
কবিতাচক্রের পোখরাজ লিখবেন দ’এক ছত্র। বলবেন, তার মা নয় শুধুই মাতৃত্ব। উজান-ভাঁটা মুকুলের গোমেদ লেখা একজন ধ্রুপদী মহানন্দাও বটে।
আজকাল তার হিমশিমগুলি চারিয়ে যাচ্ছে জলজ কদমে।
ভারি লাগছে খুব? শ্বাস নিতেও কষ্ট? হবেই তো! আপনার রুধিরস্রোতে স্পষ্ট তার ঝিনুকের ঢেউ। এখন আপনি তাকে শোনাতে পারেন, লাল সোয়েটার পরা নির্ভেজাল কয়েকটি সরগমের বাতাসা।
আপনার কণ্ঠ শুনে সে খুব হইচই! ইচ্ছে তার এখুনি মায়ের কোল, এখুনি কয়েক টুকরো সাঁতার।
গত দশ মাস আপনার অন্দরে ঝিকমিক বইছে যে অনঙ্গশিখা, হাত ধরুন তাঁর। চোখে রাখুন চোখ। আপনার ছায়া সে, আপনিও তার একমাত্র পাখিরোদ।
কান্নার আনন্দে ভিজে উঠুক অমল মাতৃগ্রহটির চূড়ান্ত সেতার।
তার সাথে আলাপ করিয়ে দিন সুরভিত সরোদ আর মৌরিফুল-সৌরলতার।
৮
আমার আগে যে লাইনে ছিল সে ঠিক আমার মতোআমার পরে লাইনে যে আসবে সেও ঠিক আমার অথবা আমার মায়ের মতো
আমি আমার মায়ের একদা ব্রেসিয়ারে ফেঁসে আছি
আমার মা তার মায়ের আগের সাইজে ফিরে গেছে
আমার মেয়ে তার দিদিমার অতীত ব্রা ত্যাগ, বর্তমানের হুক আঁটোসাটো শেপ
এইসব বক্ষবন্ধনীর জিপসি থেকে এখন আমরা প্রত্যেকেই
একটি নতুন নগ্নতার আবেদন জানাচ্ছি, মহামান্য
৯
আমি তোমার সর্বকালের রিযক। পবিত্রতম গ্রন্থ। সৌন্দর্যের খুদবা।প্রতিটি সুরা আমার আধিপত্যে গড়া। আমার প্রতিটি নিভৃতই তোমার বিহংগদলের দিগ্বিজয়।
মানুষ হে , আমাকে দ্যাখো , শোনো আমাকে। পরিধান করো আমার সচেতন ভুবনপ্রবাহী চেতন। মহাকাশযান এক মুদ্রা। উচাটনের আলোকবর্ষ পেরিয়ে। আমি তোমার স্রষ্টা। রোদ-বট ও বটে।
তোমার প্রাণের নিশাদলে। নিঃশ্বাসদলে আছি ভিড় কোরে। আমাকে দাবি করো যুগে। যুগান্তরের ভূষণে। অলকানন্দার বংশগত আলয়ে। বিজুরির হ্রদমাঝারে। আদরের জরিপ নিয়ে বসে আছি হে।তোমার সঞ্চয় শুনবো বোলে।
১০
বেশ্যাপাড়ায় দেখেছি কালীমন্দির, প্রথম।গুহাজল নভোজল সাঁতলানো সৃষ্টি স্থিতি প্রলয়।
শুচি-অশুচির গোখরো, ইয়া বড়ো। আশ্চর্য বড়ো কালীমন্দিরের বোঁটাগন্ধ।
নিয়েছি টেনে প্রাণপণ ডাকসাইটে কেউটে-কদম। তীব্র চেখেছি
দেবীর কানপাশা।
চুড়ি-হার-চূড়া-কানকো। পরতে পরতে উলুধ্বনি।
প্রতিমা নিরঞ্জনা, শুনেছি এমনটাই নাকি বেশ্যাপাড়ায়, কালীমন্দিরের কাঠামো।
প্রতিটি সন্ধ্যা ডবকা শূন্যবসনা। কাত্যায়নী কালী, আসর তলায় নিত্য আরাধনা।
প্রতিরাতেই জাগ্রতমূর্তি, প্রহরে প্রহরে বাঁড়া-রতি হয়। তমসো মা জ্যোতির্গময়।
$ads={2}
১১
মাধ্যাকর্ষণের বীজ ফেটে বেরিয়ে আসছে বর্ষাতুমুল।তুমুলটুকু। আষাঢ় বিভঙ্গে জারিয়ে রাখুন। বর্ষা ঢেলে নিন দেরাজের আধারে।
মিশিয়ে দিন কোয়েলের পিউ। কাহারবায় মেশামেশি হোক শ্রাবণের ডুব।
ঘড়ি ধরে ঠিক পাঁচমিনিট ভরাডুবি। তারপর, একটু টই আর একগোছা টম্বুর।
অপেক্ষা করুন। মিশ্রণটিকে ডেকে নিন চোখে। করিয়ে দিন আলাপ, ছলাতজলের সাথে।
দেখুন আর অনুভব করুন আমসবুজ অক্ষরেখাটি মিড়। মুখরা আর অন্তরার গন্তব্যে পৌঁছে
প্রাণের বান্ধবকে ডেকে নিন প্রাণে। তারপর? মনে প্রাণে এক চুমুক ।
১২
অতীতক্ষণে নগ্নবসনে কে সে অবিদিত হোমযজ্ঞ? কে সেই লম্পট ভৈরবী?শরীরী প্রাসাদের ছাদে বসে আমাকে শোনাচ্ছে শূন্যকড়ির খিলখিল
সঁপেছি তাঁকেই দস্যু ফড়িঙের উড়ন্তস্তন, মাইডানা
চন্দন মাখানো যাম, ছমছমে মাদকলীলা। অন্তরীক্ষের ঠোঁট পূর্বজন্মের নৃলোক
তাঁর, প্রতি গরাসে মেতেছি। গরলে সাজিয়েছি মুরোদের হাভেলি
রঘুনাথের ঝুনোবাঁশীটি চাই তাঁর, আমার অন্ধকার ঢেকে দিক তাঁহার অলঙ্কার
অজাত মেঘকাল আমি, তাঁরই বাসনা বাগিচায় খানখান নরোত্তম গিরিধারি
১৩
যদি ব্যথাব্রহ্ম পার হবার পরে বুকে অন্য কোনো পদ্মকমলযদি মৃত্যুফলের ঢল নামে তারাচারার বীজে,যদি মুহূর্ত শূন্য
সেই শূন্যকফিনে বাড়ি ঘর ভ্রমের বারান্দা এলোপাথাড়ি জ্বরে কাঁপতে থাকে
যদি সমবেত আত্মহত্যার পরেও আমি তুমি আমরা আবার শুরু করি বাঁচতে
যদি বাজতে থাকে পৃথিবীর পা, মুছে যায় ইথার আর পারফিউমের আলপনা
যদি কড়া নেড়ে ক’য়ে যায় কুরআনই বাসুকির গীতা আর বাইবেলের দোলনা
১৪
আকাশ খুলে দিলো এক ছোকরা লেখক।বাতাসের সনেট। থরে থরে সাজানো গদ্য। চৌমাথা থেকে ডানদিক ঘুরেই বিখ্যাত পদ্যবিভাগ।
ধ্রুবতারার দ্বিতীয় খণ্ড, প্রবন্ধের আঁকারটি নীহারিকা তুমুল। এ বছরের শারদীয় উপন্যাস লিখেছেন মৃগশিরা নক্ষত্র।
উপন্যাসটি নাকি পুরষ্কার পেয়েছে শ্রেষ্ঠ ডুবুরির। নতুন কবির এক সাঁতারগ্রন্থ একাদেমিতে হইচই বাঁধিয়েছে খুব।
এদিকের মহাকাশে জ্ঞানীগুণী পাঠকসমাজ ব্যস্ত এখন খুব। গল্পের চোরাপাখিতে খোঁজ চলছে আকাশলীনা পাঠিকার।
ও পাড়ায় অনুবাদ হচ্ছে শব এবং শ্মশানের প্রতিবিম্ব। এদিকে এতোক্ষণে বুঝি নিভে গ্যালো সাহিত্যসভার খইসাজ।
১৫
মন ছুটছে ? ঘূর্ণির প্রবল ছুটছে ? ন্যায় অন্যায় রাগ উষ্মা সব ?দুঃখ জরা , নদীটি কলসভরা ?লক্ষভূতে জেরবার তুমি ?ফিরেও পারছ না ফিরতে ?
সমুদ্দুর কেবলি উশখুশ বুনছে। দীর্ঘতর হয়ে আসছে রোদ? বেদনা?
ছায়া পাচ্ছ না ? পাচ্ছো না অনন্তের ভক্তিবিছানা ? এই দ্যাখো ... আমার স্বর ...
শোনো শয়নে স্বপনে জাগরণের আমার কবচগঙ্গাটি শোনো।
তর্কবাগীশরা তর্ক করুন। যতখুশি বিতর্ক। চলুক আমার হৃষীকেশ জুড়ে।
তুমি শুধু শোনো আমাকে অর্জুন। জেনে নাও আমার আশ্চর্যজানার অজানা স্তব। তুমি বরং
আমার সঙ্কলনের শালিখটুকু, চড়ুইপত্রের সম্পাদনাটুকু শোনো।
১৬
ঊষার দুয়ারবসনে কে যেন সঙ্গোপনে ভাসায় উৎসরাশিঅভিভূত সেই উৎসবের পাশে ফিরে আসি। বিজন বাল্যবেলাটির অন্দরে আছো দাঁড়িয়ে, জানি।
কবেকার কোন দরিয়ায় আমার বেঁচেথাকাটি উড়ে যায়। কুড়িয়ে নিও হে জিয়নকাঠির আবরণ। দিও স্নেহ
প্রেম আর মরীচিকা। তোমাতে ফিরবো বলেই তো ফিরেআসা। চুড়ার আলোলম্ফটি দিও জ্বেলে
যেন হিজিবিজিতে পথ না হারাই। ওগো বিশুদ্ধ রোপণের নিরুপম। নমো ভাবি তোমাকে আর প্রণামে সাজাই
Tags:
আজকের কবি