কবি দেবারতি গুহ সামন্ত'র দু'টি কবিতা
নারী নৃশংসতা
সেলাই করে শিখিয়েছি লেখাপড়া
মেয়ে হবে মস্ত ডাক্তার
শেখাতে ভুলে গেছিলাম আত্মরক্ষা
তাই মেয়ে পায়নি নিস্তার!
হয়তো বা,হয়তো বা চেঁচিয়েছিল
মুখ ছিল বন্ধ,হাত অন্যের মুঠোয়
হায়!অন্ধকার সেমিনার রুম গুনছিল প্রহর
এক নৃশংস খুনের অপেক্ষায়!
মেয়েরাই মেয়েদের চরম শত্রু
তিলোত্তমা তার জ্বলন্ত প্রমাণ
শয়তান ভর করেছিল ওদের
নারী হয়েও কেড়ে নিল ওরা নারীর সম্মান!
ঝুলছে দেওয়ালে
আর পাশবালিশ জড়িয়ে ঘুমাবে না মেয়ে,
অকারণে কোলে পড়বে না শুয়ে,
আব্দার করবে না ভালোমন্দ খাওয়ার,
তাকাবে না মায়াবী ওই দুচোখে।
ঘর জুড়ে পড়ে থাকা স্মৃতির সমুদ্রে,
হাহাকার,শুধুই হাহাকার!
শূণ্যতা ক্রমাগত গ্রাস করছে সময়,
ফুল ঝড়িয়ে ফেলছে শুকনো পাপড়ি।
ছটফটে প্রাণবন্ত মেয়েটার হাসি,
থমকে গেছে হঠাৎ,
লিপস্টিক পড়া ঠোঁটে লেগে আছে রক্ত,
ক্লান্ত কলঙ্কিত মেয়েটা দেওয়ালে ঝুলছে...
ওখানেই ঝুলবে আজ থেকে,প্রত্যেকদিন!