বিসর্জন
অঙ্কিতা মজুমদার
যে রূপে এসেছিলে সেই রূপের জ্যোতিতে পৃথিবী আলোকময়,
কোন অভিলাষের সৃজনশীলতা!
ছড়ানো বাসি ফুলের মেলা,
রেখে গেছ ফেরার চরণ চিহ্ন,
বিদায়ের পথে পুলকের সম্ভাষণ,
বেজে উঠলো একে একে বাদ্যের ধ্বনি,
রঙ্গমঞ্চের আলোকছটায় গগন বিস্তারিত,
ভেদ করা আকাশবাজির শব্দ টঙ্কারে মাতল ভূবন,
কিন্তু, এই বিসর্জন মিছিলে এত আলোর রঙ্গে এ কোন চিৎকারের হাহাকার ভেসে আসে,
হিংস্র লোলুপের দৃষ্টি এড়িয়ে রক্তে ভেজা শরীরে ক্রমশ মায়ের পানে ছুটে আসছে,
রুদ্রের চাহনিতে মায়ের চোখে চোখ রাখে,
অলিখিত অশ্রুত কথাগুলো মায়ের কানে নীরবে পৌঁছে দেয়।
যে দেশ মায়ের পূজার জাঁকজমকে অনাবিল আনন্দে বহমান,
সে দেশেই নারী পূজিত হয় আদিম বিকৃতিতে।
রক্তের স্রোত বয়ে যাক জনজীবনে।
ভীষণ প্লাবনে তলিয়ে যাক মানবজীবনের ধারা।
একই সাথে বিসর্জন হোক প্রাণহীন মূর্তি আর মানবের।।