অর্জুন উবাচ — ২৮
স্বপন শর্মা
হে প্রিয় দেবদত্ত, অযথাই বাজলে
রণপ্রাঙ্গণে বহু বয়সি ধানুকী
হৃদয়ের সীমার বড্ড কাছের, তাই
হতবাক বিমূঢ় গাণ্ডিব। রাজ্যভোগ স্পৃহাও মৃত।
কুলক্ষয়ে মহাপাতক
আসন্ন আগামীর অবজ্ঞা ও অশ্রদ্ধার বস্তু
কী করে বিদারক আলোয় দেখাব মুখ ?
আকাশে বাতাসে ধ্বনিত হবে শুধু সাদা শাড়ির কান্না,
বিনাশের বেহাগ আর বিজিতের ব্যর্থ আস্ফালন
প্রভু, অযথাই বাজালেন পাঞ্চজন্য।
বয়সি ভবিষ্যৎ ভূপতিত হলে
কী করে আচার ও ঐতিহ্যের পাঠ নেবে অল্পবয়স?
সীমাহীন রক্তক্ষয়ে কোন অলীক ধর্মের রূপায়ণ ?
চোখে ভাসছে, প্রভু, সম্ভাব্য নরক
কী করে পালটাবেন রক্তমাখা আগামীর দৃশ্যপট
যার রূপকার সম্ভবত আপনি ও আমি !
দিব্যদৃষ্টি দানে যা দেখেছি, ভুলে যাই বারবার ।
মাটিতে শেকড় প্রভু আবেগের কাছে ধরাশায়ী
এই মরমী আলো ও আকাশের পৃথিবীতে
কীভাবে নির্মোহ থাকি হৃদয়ের রক্তপাতে ?