আকাশ নীল বিশ্বাস
(১)
গোলাপ দিলাম তোমায় প্রেমাষ্পদা
গোলাপ দিলাম তোমায় প্রেমাষ্পদা
ওই যে সেদিন সিন্ধুপারে
শুক ও সারির ফিসফিসানি
বাতাসেরই কলকলানি
উঠছিলো এক কালনাগিনী
গোলাপ দিলাম তোমায় প্রেমাষ্পদা
গুহামুখের প্রান্তভাগে
আদম-ইভের অন্তরাগে
আপেলেরই ছিদ্রটাতে
সর্পিনী যে বিষাক্ত এক বাঁধছিলো
গোলাপ দিলাম তোমায় প্রেমাষ্পদা
গুমঘরের ওই অন্ধকারে
অন্ধ মেয়ে বন্ধ ঘরে
কাঁদছিলো যে কপাল খুঁড়ে
কার কোলে আজ রাখবে সে
গোলাপ দিলাম তোমায় প্রেমাষ্পদা
দেশ হতে দেশ দেশান্তরে
উড়ছে আমার মনপাখিটা
অসুস্থ এই দুনিয়াটা
লাগছে যে আজ এক্কেবারেই
গোলাপ দিলাম তোমায় প্রেমাষ্পদা
বাতাসের এই বয়ে যাওয়া
শীতের হাওয়ার উড়ে যাওয়া
তোমায় আবার ফিরে পাওয়া
আসবে কি আর আমার কাছে
(২)
বিষাদসিন্ধু ও গোলাপ
যার ঢালা বিষ পান করে আমি কবি হলাম, সেই তো আমার প্রেমিকা,
সেই হলাহল কন্ঠে ধারণ করেই তো আমি নীলকন্ঠ হয়েছি।
'বিষাদসিন্ধু'কে মন্থন করেই তো বিষময় কবিত্ব উঠে আসে…
তোমরা যাকে দূরে দাঁড়িয়ে দেখো, আমি তাকেই গিয়ে পান করে আসি।
ভালোবাসার সবটুকুই তোমাদের জন্য কবিতা হয়ে বেরোয়,
কিন্তু বিষাদের বিষটা শুধুই মনের মধ্যে জমে, ওটার ওপর যে শুধু আমারই অধিকার।
বিষাদভরা এই বিষের ভান্ড উপচেই একদিন আমার মৃত্যু হবে,
আমার মৃতদেহের ওপর ফুটে ওঠা ফুলটাকে উপড়েই তোমার প্রেমিক আরেকদিন তোমাকে প্রেম নিবেদন করবে…
বলবে, এই নাও - যাতনার গর্ভে জন্মানো ভালোবাসা - 'গোলাপ'।
দোহাই তোমার, সেদিন যেন তাকে আর আমার মতো করে ফিরিয়ে দিওনা!