স্মি তা বা গ চী শুভ বিজয়া
ঢাকের তালে সকলে মাতোয়ারা,
আকাশ ভরেছে পুজোর গন্ধে;
শিউলি , কাশ ফুল বয়ে এনেছে মায়ের আগমনী বার্তা,
ধুম লেগেছে দুর্গা পূজার;
তারই মাঝে চোখ আটকালো ওই মণ্ডপের বাইরে কোলে নবজাত শিশু নিয়ে বসে থাকা পাগলীটার দিকে ।
কিন্তু সেও তো মা ,
হ্যা! তোমার বা আমার মতো হয়তো স্বাভাবিক নয় সে ,
তবুও মাতৃত্বে কোনো ত্রুটি রাখেনি;
বুকের আঁচল টেনে নিয়ে আগলে রেখেছে বাচ্চাটাকে....
কিন্তু চেহারার পারিপাট্য দেখে মনে হয় না ভিখিরি ,
আসলে সেও তোমার আমার মতই এক নারী; এক মা ....!
কিন্তু তুমি তো দশভূজা মা !
আর ও শুধুই এক অবলা নারী ,
মা তুমি না হয় বধ করেছিলে একটা মহিষাসুরকে !
আর বাকি যে গুলো আছে তাদের বধ করার শক্তিটা তো কই দাওনি ?
আর তাই যদি থাকতো মা তাহলে তোমার কোনো মেয়েই
পেতোনা ধর্ষিতার তকমা !
কিংবা , তাদের অবস্থা টাও
ওই পাগলির মতো হতো না ;
কিছুটা মুহূর্ত চুপ করে রইলাম,
প্রার্থনা করলাম ওই নবজাতক শিশুটির জন্য....
ওই মেয়েটির বিহ্বল চাহনি
আমার দৃষ্টি আকর্ষন করতেই;
মেয়েটি মুচকি হাসলো,
কই,
তাকে তো এখন আর পাগলী
মনে হচ্ছে না
তাকে দেখলাম এক অন্য রুপে,
মাতৃ রুপে ঠিক তোমারই মতো!!
দশমীর বরণ শেষে ফেরার বেলা মেয়েটি আমায় ডেকে বললো , দিদি শুভ শারদীয়া !
বলেই কি না হাসি তার,
আমিও প্রসাদ দিয়ে শুভ বিজয়া জানালাম ,
হয়তো,
এটুকু আন্তরিকতার জন্যই মেয়েটি মুখিয়ে ছিলো !
এক গভীর দীর্ঘশ্বাস ফেলে
মনে মনে বললাম ,
মা _আ_আ.....
দশভূজা না হই কিন্তু ,
এই সমাজের অসুরদের যেনো
দমন করতে পারি!
সামনে থেকে মায়ের ডাক শুনেই অমনি এগিয়ে গেলাম ,
ফিরে চাইলাম মেয়েটির দিকে.....
আর তখনও সে তারস্বরে বলে
চলেছে শুভ বিজয়া ! শুভ বিজয়া! শুভ বিজয়া!!