• কবিতা
সু নী তা
উড্ডীয়মান মৌল
চাঁদের বাগানে ঢুকে দেখো
কাস্তে, কোদাল ও লাঙলে জমেছে অনাবর্তের বরফ,
রঙ্গিন পাখিদের কোলাহল বিরল, এড়িয়ে গিয়েছে
দিগন্তবিস্তৃত মধ্যমমান গীতিপ্রচার,
সম্প্রচারক পাখিরা চলে গেছে দানপত্র না লিখে –
বরফকুচি উড়ে যায় লাল গোলাপের পাপড়িরেখায়
লালিমাটুকু জেগে থাকে অকৃত্রিম শ্বেতগ্রাসে;
ধূসরতা জাগানো বিরল প্রান্তর, পৃথিবীর উপলিত সীমানা।
এ বাগান কবিকে এনে দেয় মৌলবিন্যাস
বরফদন্ডে বেঁধে নিয়ে তার উড্ডীয়মান হৃদপিন্ড, দু’খানি
হাত তার গেঁথে রেখে কনকবর্ণ সূর্যালোকে-
সদ্য উবে যাওয়া মৌলিককণা ভেঙে দেখা
এক অণু কবি’তে আছে– মানবতা ও প্রেমের দুই পরমাণু
আর আছে এক পরমাণু অনাহূত দৃষ্টিপাত। এই দিয়ে
চাঁদে ও পৃথিবীতে কবি লেখে যুগপৎ হর্ষ ও বিষাদ।
এক অণু কবি নিয়ে যায় গোলাপের খোলা জানালায়,
কাঁটা-চয়ন শেষে লেখে নিষ্কন্টক পৃথিবী।
চাঁদের বরফ শীতলতায় আরশি দেখে কবি
দেখে, নিত্য ফোটে আকন্দ ও হাহাকার
কোরক ও ক্লেদ, ময়ূর আর অশ্রু !
পৃথিবীতে নদীজল বয়ে নিয়ে যায়
লক্ষ্মীন্দরের ভেলা
চাঁদের বাগানেও; মুক্তরাশি সর্প দংশায় গোলাপ ।