• কবিতা
সু ব র্ণ কা ন্তি উ ত্থা স নী
সাদার মাঝে মুছে ফেলা হোক রক্ত
দেখলাম কৃত্তিকা তারাপুঞ্জের ফাঁকে ফাঁকে অন্ধকারে
শুয়ে স্থূল-স্তরে একফালি চাঁদ জেগেছে শিঙের আকারে一
ঢেকে ফেলেছে বিগত শতাব্দীর হিমে ৫৯ অংকদুটো,
যার শিং, গুহামানবের বৃষ一সিংহ一শিকারী পেরিয়ে ধূসর অন্তরীক্ষে
মানুষের নবতম সভ্যতা গলিয়েছে প্রগতির বেকুব পোশাক, দু'মুঠো
খাদ্যের আশায় কেউ আর ঈশ্বরের কাছে ফরিয়াদ করেনা অথচ বৃক্ষে
ওড়া তেরঙ্গা পতাকায় আঁকা একখানিই চাকা মধ্যবর্তী সাদার মাঝে
রাষ্ট্রের মর্যাদা ক্ষুণ্নকারী দুর্লক্ষণ, মেনেছে ক্লীবত্ব জন্ম ও মৃত্যুর খাঁজে,
কচ ও দেবযানীর মিলনক্ষণ থেকে হেঁটে আসে উগ্র আর্যতত্ত্ব一
তিথি নক্ষত্র ঘেঁটে রাজপুরোহিত দেন শাস্ত্রীয় বিধান,
টেনেহিঁচড়ে নামানো হয়েছে আদম ইপ্কে, আমসত্ত্ব
অধিক ভদ্রস্থ, উন্মাদ জনতা নিউক্লিয়াসকে ঘিরে বলয়িত আধান,
সহসা সচল হয়ে উঠেছে চাকা,
রক্তখেকো পৈশাচিক উল্লাসে গড়িয়ে যাচ্ছে সামনের দিকে,
পরাকাষ্ঠায় বাঁধা মায়ামোহের বন্ধনে আজ্ঞাচক্র ডিঙাতে ব্যর্থ জনক,
ক্ষমাশীল বুদ্ধের শ্রম ও সহিষ্ণুতা বৃদ্ধবয়সের চামড়া জল-সূর্য-তৃষ্ণা থেকে
ঢেকে রেখেও হে মৃত্যু হে বাৎসল্য সর্বোৎকৃষ্ট মিষ্টি স্রষ্টা-বলির শোক।