বাইসন এবং সেক্সবিদ্যুৎ
রত্নদীপা দে ঘোষ
***
১
ভিজতে ভিজতে শুনছি তপ্তবালি, বরষাতের কোলাজকাল
সরগম উড়িয়ে দিচ্ছে রেগামার ব্রেসিয়ার, একাকার খুলে ফ্যানাদার পেরিফেরি
একবার দেবো কি ডুবকি?
ভাবতে ভাবতেই তলিয়ে যায় আঙুরক্ষেতের জটাজাল, প্রণয়ের ডুবুরি
ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে তুমিও কি শুনতে পাও বর্ষাকোষ? দ্রাক্ষারসের টেরাইন, অম্লতরল
গ্রীনিচ অরণ্যে কলার-তোলা বাতাসে শনশন ফ্যান্টাসির বাইসন
তুমিও শুনছো কি?
২
একপ্রকার হেভেনলি ড্যাফোডিল। তামাম ব্লু। মূর্ছনার স্যান্ডআর্ট।
দিই ঝাঁপ, হে বাইসনের অটোগ্রাফ ! জ্বলছে ভায়াগ্রা, জ্বলুক । জ্বলতে দাও।
শরীর ঝাঁকানো অন্তরীপ-ওয়াটার, এসো নক্ষত্রের পার্ল-হারবার
দুলিয়ে এসো, ভিজে উঠি পাহাড়িরুক্ষ। রুকস্যাক ঘিরে স্নানচাষের টেক্সচার।
লেবেঞ্চুস মুখে করো। চুষে দেখো টফিদার জলযান।
অর্গাজমের দিগন্তে দেবমুগ্ধ হোক সেক্সবিদ্যুৎ এবং কম্পাস।
৩
বাইসনের ডানা ক্রমশ লম্বা। ভাঙছে খালবিলের ত্বক। সেই গর্জনশীলা তক্ষবেলায় তোমাকে আবিষ্কার!হাঁটছি, প্রত্যন্ত ইতিহাসের মেঘলা থাবায়।
আজকাল অল্প হাঁটলেই খিদে পায়। পয়োধির পায়েস। গমগম শরীর। বিস্ফোরণের চূড়ায় আখরোটের মেঘ। হাহাকার লাগামহীন, সোহাগে শক্ত লীনতাপের জিভ।
মজার কথা কী জানো, তুমি বুকে এলে ভুলে যাই ভূগোল সব।
বাইসন-ঋতুকে মনে হয় কাজুবাদামের মেওয়া। একমাঠ বজ্রপতন ঝিকমিক করে জন্মান্তর,আঠা ।