1 / 7
2 / 7
3 / 7
4 / 7
5 / 7
6 / 7
7 / 7

আজকের কবি গোবিন্দ পান্তি | সাহিত্য চেতনা

কবি গোবিন্দ পান্তি

      

   
 

               
                           
কবি গোবিন্দ পান্তি

বি গোবিন্দ পান্তির জন্ম ১৯৩৬ সালের ১৭ই জুলাই অধুনা বাংলাদেশের যশোহর জেলার শিমুলিয়ায় । পৈতৃক এবং স্থায়ী বাসস্থান উত্তর ২৪ পরগণা জেলার গোবিন্দপুর গ্রাম ।
'জাগৃতি' ও 'অনুরাগ'  সাহিত্য সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা এবং ওই সংস্থার মুখপত্রের সম্পাদক ।
বহু সাহিত্য পুরষ্কারে ভূষিত এই কবি বহু জ্ঞানীজনের সান্নিধ্য পেয়েছেন । সাহিত্য জগতে শিক্ষক  হিসেবে পেয়েছিলেন  'শুকতারা' পত্রিকার সম্পাদক মধুসূদন মজুমদার , শিক্ষক মহীতোষ রায়চৌধুরী এবং সাহিত্যিক ড. শুদ্ধসত্ব বসু কে ।
কবিতা সম্পর্কে কবি জানিয়েছেন -" কবিতা আমার জননী , জায়া , কন্যা , সবই , আমার শ্রদ্ধা-ভালোবাসা সব আবেগ তাকে ঘিরেই.."
আসলে এই কবি অন্য সব প্রতিষ্ঠিত কবিদের থেকে কোনো অংশে কম নয় । তার কবিতা বলিষ্ঠতার ছাপ রাখে । 'ক্র্যাকার' পত্রিকার সম্পাদক ও সাহিত্যিক গৌরাঙ্গ দাস কবিকে 'জীবন্ত ডিকশনারী'  বলে অভিহিত করেছেন ।বহুমুখী প্রতিভা সম্পন্ন এই কবির এখনো পর্যন্ত দুটি কাব্যগ্রন্থ প্রকাশিত হলেও তা গুটি কয়েকজনের মধ্যে সীমাবদ্ধ থেকে গেছে । প্রচারের আলো থেকে তিনি ব্রাত্য । তাকে নিয়ে কোন মূল্যায়নও আজ অবধি হ'ল না । অথচ তিনি কবিতায় যেভাবে শব্দকে তুড়ি মেরে ম্যাজিক দেখিয়েছেন তা প্রশংসনীয় । তাইতো তিনি আক্ষেপ করেছেন -
আমার মধ্যে কি আছে ?
লজ্জাবতী লতার পূর্ণচ্ছেদ,
সূর্যমুখীর উন্মুখতা অথবা
ভেঙে যাওয়া পাঁজরের কান্না !
শক্তির ঝঞ্ঝাট কাটিয়ে
মাঝরাতে আমি আজ বেহুঁস কেন ?
নিজের তাকালে ব্রাত্য মনে হয়-

কবির প্রথম কাব্যগ্রন্থ "পাহাড়ে আগুন" প্রকাশের পর প্রায় তিন শতাধিক কবিতার এক সুবৃহৎ কবিতা সংকলন নিয়ে দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্থ 'গন্ধছোঁয়া রোদ্দুর' প্রকাশিত হয়েছে । প্রতিটি কবিতা প্রতিটি থেকে আলাদা আঙ্গিকে , আলাদা ভাবনায় , রয়েছে ব্যঞ্জনা । শব্দচয়ণে এসেছে নিজস্বতা । তিনি বলছেন -
'ঈশ্বরকে ভেবেছি নিজস্ব প্রয়োজনে/ প্রয়োজন মানেই বাঁধনের সীমাবদ্ধতা; '
কোনো রাখঢাক না রেখেই কবির এহেন স্বীকারোক্তি ।

গ্রামে পড়ে থাকা এই অখ্যাত কবি বেঁচে থাকার রসদ পান তার সৃষ্টিতে , ছাত্রছাত্রীর ভালোবাসায় । গ্রামের শিক্ষানুরাগীদের সাহিত্য ও সংস্কৃতিমুখী করে তোলবার জন্য নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন । একসময় দেশ-বিদেশের দেড় শতাধিকেরও বেশি পত্র-পত্রিকাতেও নিয়মিত লিখলেও বর্তমানে নিজেকে সম্পূর্ণ গুটিয়ে নিয়েছেন । কখনো প্রচারের আলোয় আসতে চাননি । কবির কাছে ৫টা মিডিয়ার থেকে ৫জন প্রকৃত পাঠকই বেশী গুরুত্বপূর্ন ।{alertSuccess}

{tocify} $title={সূচীপত্র}

কবি গোবিন্দ পান্তির সাম্প্রতিক কালের একগুচ্ছ কবিতা প্রকাশ করা হল :




   ঈপ্সা 

   

তখন হয়তো ছিল পর্যটন-ক্লান্ত রাত্রি-চোখ
হাত দু'টো অক্ষর-বৈরাগ্যে ভাসমান
শারীরী উৎকণ্ঠা ভেজা পত্রালি সংযোগে
দিন ছিল শবরী সমান-

তখন চোখের তারা 'পূরবী' তে প্লাবিত কতই
যেন তার পরিক্রমা প্রহর-নির্জীত হ'তে নেই
পাহাড়ী ঝর্ণার মত উথাল-পাথাল অগোছালো
অথচ গমন-কুণ্ঠ কুমারী-ভীরুতা মানসেই;

ছুঁয়ে ছুঁয়ে সে বীথিকা বীতশোক-নিমগ্ন গগন-
সূর্য নয় , চন্দ্র নয়- একটি নক্ষত্র নাম 'স্বাতী'
আরো পেতে চাওয়া-নীল-একক-উদার
স্তরাম্ভরে ব্যস্ত-মাতামাতি ।

ঈষাণ বায়ুতে যদি শতবর্ষ ছুঁয়েছে অশনি
ভিজে বকুলের কান্না শ্রান্ত-সঞ্চরণ
বিপন্ন লেখনি-ক্লিষ্ট পত্রালাপে রাতের দুপুর
মথিত-বাসর স্বপ্নে লখীন্দর-মৃত্যু অগণন ।

আজ শুধু ফিরে দেখা আবাহন-অনন্য-সংকেত
ওষ্ঠাধারে চুম্বনের বিমর্ষ-প্রবাস
আকাশ ধরেছে তাই শতরূপা আকণ্ঠ-আধেয়
প্রাক্তন প্রমেয়-পথে হৃত-সর্বনাশ ।


এসো অনবসানে

        

পৃথিবী মেখলা মারণ- মহোৎসবে
বন্ধুর পথ, কাঁটা ঘেরা দশদিক,
আকশের নীলে ছেয়ে গেছে কালো ধোঁয়া
শ্যেন চঞ্চুতে বিদ্ধ নিরীহ-পিক

প্রভাত-কাকলি মনে হয় ক্রন্দন,
সূর্য কিরণে ঝরেনা হাসির ধারা,
কাঙাল-করুণ হুতাশে রুক্ষ ঝড়—
ভালোবাসা মোছা অনীক-আয়ুধ পারা।

ভাঙা বুক নিয়ে বিষাদের তানপুরা
সুর ভোলা গানে বিমনা-বিরহী প্রায়,
মধুপ আসেনা ফুলের আমন্ত্রণে
ফাগুন ঘিরেছে সকরুণ বরষায়।

বসন্ত বায়ে গ্রীষ্মের দাহ দেখে
শ্যামায়িত মাঠ সবুজ হারানো দুখে—
নিরুপিত যত আশা দীপ নেভা ক্ষণে
অশনি-আবহে শঙ্কিত ভীরু বুকে।

নদী ভুলে গেছে জোয়ার ভাঁটারগান,
গাংচিল আর ছোঁয় না জলের চোখ,
বটের ছায়ায় রৌদ্রের ভীম শ্বাস,
বাণ বেঁধা পাখি বুকে সঞ্চিত শোক।

আমরা সভয়, এমনি ছন্দহারা—
আসবে কি আর গন্ধ ফুলেল দোল,
হাসবে পৃথ্বী নবারুণ মোহ রাগে,
মলয় দেবে কি আবেশিত হিল্লোল?

ভাবনা সরায়ে এসো প্রতিজ্ঞা করি—
মৃত্যুতে নয়, জিষ্ণু মন্ত্র স্মরি।।



বিরহ কথা

    

বিরহ আমার উপশমহীন-ব্যথা
বিরহ আমার সঞ্চিত -কথকতা
পূর্ণচন্দ্র জ্যোতি,
মিলনে বুঝিনি প্রেমের মাধুরী মায়া
অবিরাম-সুখ সঞ্চয়ে নীপছায়া
আলোক মূর্তিমতী।

ভরা নদী স্রোতে যবে ওঠে কলতান
জমে না কখনো স্রোত হারা অভিমান
চলমানতার রাগে,
দু'কুল ভাসানো তার সে অহংকারে
না-থামা-বাতাস দোল দেয় বারেবারে
অরুণাশ্রিত ফাগে।

তেমনি আমার যাপিত-মহোৎসবে
কুহু কলতান শ্বশনিত-প্রিয় রবে
স্বপ্নের সেই ক্ষণে—
ঝরে গেছে ফুল রিক্ত শাখায় তাই
করুণ সানাই সুর তোলে-'নাই নাই'
নির্জিত সে ‘কাননে',

তবু এক প্রীতি খুঁজে পাই সবখানে—
বিরহ বিধুরে প্রেম প্রাধান্য মানে
অক্ষয়-আমরণ,
সে বুঝি সরসা সান্ত্বনা-ভরা ছবি
বিবসা স্বপ্নে এঁকে যায় প্রিয় কবি—
হর্ষিত-সুশোভন।

প্রেম চিনে নিতে অমর-বিরহ তাই—
নষ্ট-নীড়ের সুরভিত-আশনাই

এবার পুজোয়


পুজো এলো, সাজ-বাহারি দশভূজার সঙ্গীযত,
মহাদেবের ভীষণ জ্বালা ঘাটতি বাজেট অবিরত;
অন্যবারের অস্ত্র গুলো এবার অচল কপাল দুঃখে,
কি দিয়ে বা হবে লড়াই অসুর যখন উঠবে রুখে?
মহীষাসুরের ‘,পেট্রিয়েট' স্বর্গ শুদ্ধ এবার কাবার,
সম্ভাবনা ‘দূর অস্ত' যুদ্ধে জিনে ফিরে যাবার
অনেক ভেবে মহেশবাবু বেজায় রকম ওঠেন হেসে
‘হেরোয়িনের' ছোট্ট বড়ি'পেট্রিয়টকে' ধরবে ঠেসে।



বর্ষায় আমি

   

সূর্য ভেঙেছে শত খন্ডিত মেঘে
ঘাসের ডগায় একটু শিশির নেই,
ভিজে শালিকের পাখায় রয়েছে জেগে
জলকণাদের বিন্দু-সোহাগী-খেই;

মাঝে বয় হাওয়া পুবালি পরশ নিয়ে
বৃষ্টি বাহিত গন্ধরাজের ঘ্রাণে,
মনের মিতালি আর কিছু গান দিয়ে
কাজরি সুরের আমেজ-আবেগ আনে—

আমি কবি নই তবু তো সরসা শাকী—
তানপুরাটায় বাঁধি মেঘ মল্লার,
রাত্রির যত ঝঞ্ঝিত কালো ঢাকি
কণ্ঠে ফোটাই আমোদিত কহ্লার।

আমারে বরষা সাজায় পুষ্প রাগে
তাই ভালোবাসি মেঘ আর বিদ্যুৎ,
বৃষ্টি ফোঁটায় যত শিহরণ জাগে
শিল্পী ঈজেলে রঙ-রেখা অদ্ভুত।

তোমরা যখন স্বতঃপরমাদ গোনো
ছন্দ হারাও অলীক-কাঁপন ভয়ে—
বজ্র ঘোষণা হিম-অবসাদে শোনো,
প্রকৃতি হাসেন সৃষ্টি শোভন জয়ে।

বরষা সবারে জানায় সাহস-বাণী—
জলকণারূপে মায়ের আশিস চুম,
শ্যাম-অভিরাম শস্যের হাতছানি
হৃষ্ট-যাপন কুণ্ঠা বিহীন-ঘুম।

গীতিগুঞ্জনে সুরভিত সম্ভার—
বর্ষা রানিরে অর্পণ, উপহার।।


Sahitya Chetona

তোমাকে শ্রাবণ


হে শ্রাবণ!  তুমি মেঘপুঞ্জের আদর জড়ানো কন্যা
জীবন-দায়িকা, মায়িক-সরসা অসীম-অমেয় ধন্যা,
গরবী ফসলে মাঠ ভরে যায় শাপলা-শালুক শোভা
অথৈ দীঘির ভরা জল ভারে সরসিজ মনোলোভা,
বনানী শোভন, স্নান চিক্কন সবুজ হাসির হাট--
গ্রীষ্ম দহনে রুক্ষ-কঠিন-সেকথা ভুলেছে মাঠ,
ভিজে জুঁই দল গন্ধ ব্যাকুল বিনি সুতো মালা গাঁথে,
আকাশ-কাজলে অপাঙ্গ হানে বিজলী নেত্র পাতে,
আষাঢ়ের মেঘে যক্ষ পাঠায় প্রিয়ার খবর-চিঠি-
শ্রাবণে সঘন জল-সচকিত নীমিলিত প্রেম-দিঠি,
আমি ব'সে একা-কালিদাস নই তবু স্মরি প্রিয়া মুখ,
‘মেঘদূতম্’এর স্মৃতি-গাথাভরা স্বতঃ সুখে উৎসুক,
তুমিও কি তবে আমার মতন বিরহ-অন্তপ্রাণ--
ধারায় তোমার ঝরে কি বুকের হতাশ-মথিত গান
তাই যদি হয় এসো হে বন্ধু ব্যথা- সুনিবিড় দুখে--
দু'জনে জড়াই মিতালি-মনের হর্ষিত-সুধা সুখে,
কৃষ্ণবসনা মেঘমল্লার বিদ্যুৎ-মালা গলে
শাওন রাতের প্রিয়া কন্ঠের সুর সংযোগে বলে--
--কেঁদোনা শ্রাবণ, এসো দু'জনেই সুরভি স্মরিত মনে
কন্ঠ মিলায়ে একাত্ম হই পিয়াস- ত্বরিত ক্ষণে।



যদি আসতে


বদ্ধ ঘরে থাকতে ভালোবেসে
নিমগ্নতায় আত্মমগ্ন হই,
ভাবি সলাজ মৃদু-মন্দ হেসে
বেশ তো আছি, অনাসক্ত নই;

আকাশ ভরা লক্ষ তারার মেলা—
একক চন্দ্র-সূর্যে অশেষ আলো
বদ্ধ ঘরের আগল ভেঙ্গে ফেলা
মুছেই   দিয়ে নিবদ্ধতার কালো।

ডাকছে বাতাস, ডাকছে সবুজ বন
হিল্লোলিত প্রেমের হলুদ ফুল—
হয় যদি গান অবুঝ-রিষ্ট মন
ভাসুক তবে কুন্ঠ নদীর কূল।

রাত্রি এলে ঝিঝির সরব সুরে
প্রিয়ার কন্ঠে-যখন বাজে বীণ,
মন-সরসী উতল হাওয়ায় ঘুরে
কাঁকন মায়ায় মুখর রিনিরিন।

আজকে আমার বিভোল গন্ধগুলি
ফুলের বুকে ঠাঁই পেতে চায় সবে,
যদি তুমি বিপথ মেদুর ভুলি--
বলতে এসে-'এখন বাসর হবে।'

উঠতো গেয়ে সুরের কোকিল যত—
কুন্দ ফুলে শুভ্র হাসির ছটা,
ইচ্ছে-রাঙ্গা তানপুরাটার মতো
কন্ঠ-দোলায় মাতন ঘনঘটা।



নবায়ণে


নিভে যেতে চেয়েছিলাম
সাজানো রক্তিম সংবহ থেকে,
হয়তো মনের সে ক্ষণিক সন্দর্ভ
ছুঁতে চেয়েছিলো তোমার সংযমকে,
তুমি ফিরিয়ে দিয়েছিলে
             একান্ততার রাশীকৃত সে মুহূর্ত
পারোনি...

নদী তো ফেরাতে পারে না
তার বুকের ছলাৎ-ছলাৎ প্লবমানতা
আশ্রয় দেয়, স্পর্শ করে শোভন সুকরে;
পর্বত প্রসারিত করে অন্তরস্থ মমত্ব;
জলধারার সংসর্গ পৃথিবীর ন্যুনতম
অভিকেন্দ্রেও ভরিয়ে দেয় জন্মোৎসব ;
আমরা প্রহর গণি জীবনের আয়ুমেপে
জীবকুল গন্ধস্নানে মেতে ওঠে
একে অপরের আত্মীয়তায়।

ঝড় আসে-কেড়ে নেয় সমস্ত উৎসার,
প্লাবন ভাসিয়ে দেয় জীবন্ত মেহনত-
তবু সূর্য বলে-যবনিকা অবসানে
হাসবে অরুণ আলো
চাঁদ বলে-রাতের তারারা তোমার
বুকে রেখে দেবে উৎসবের মণিহার

আমরা আবার মেতে উঠবো
নবায়নের সূচীপত্রে।



 সমতা


অহংকারের মাত্রাছাড়া ঝোঁকে
নরম আলো হচ্ছিল বেশ লাল
দেহের সকাল হারিয়ে অবশেষে
দুপুর-তেজে কাটাচ্ছিল কাল-

ভালোবাসা নেই-মমতার দেশে
রক্ত কাবার হা-পিত্যেশ মন,
পাহাড়-চুম্বি বৃহৎ অট্টালিকা
কাঁপাচ্ছিল ঈথার সারাক্ষণ,

কালো টাকার নিরেট উপাসনা
পাল্লাদেওয়া যানবাহনের গতি-
সবখানেতেই ভারি বুটের তলায়
কান্না-ব্যাকুল কাব্য-সরস্বতী।

পৃথিবীতে শুধুই বারুদ-হাওয়া
শক্ত পেশী শস্ত্রকারের হাত
আল্লা-হরি-যিশুর মুখে যেন
নিঃশেষিত ‘মাভৈঃ' অকস্মাৎ!

আমরা যারা চুনো পুঁটির দলে
লাট্টু মাতন কুল কিনারাহীন
সূক্ষ্ম সুতোয় মৃত্যুসঙ্গী ক'রে
পরিণামের দিগন্তে বিলীন-

এমন সময় সত্যি তুমি এলে
বুঝিয়ে দিলে কালের বিশ্বরূপে
অহংবোধের দুর্বিনীত মতি
কেমন ক'রে বিলয় অন্ধকূপে !

তাই তো তোমার নামের বার্তা বয়
অতিমারী-ঊনপঞ্চাশ বায়ূ
গুঁড়িয়ে দিয়ে অসংখ্য অহম্
প্রতিষ্ঠা দেয় সাম্যবাদের স্নায়ু।


কবি গোবিন্দ পান্তির  প্রকাশিত  গন্থসমূহ :

প্রকাশিত কাব্য সংকলন 
 প্রকাশ কাল 
 প্রবন্ধ ও গল্প সংকলন
 প্রকাশ কাল 
প্রকাশের পথে
 পাহাড়ে  আগুন

  অন্যমনে
  ২০১৬
  গন্ধছোঁয়া রোদ্দুর
   ২০১২


  রাত কুয়াশার অলো 
  তোমার গন্ধে আমি





Joydeb Biswas

Poet Joydeb Biswas studied Bengali literature. In 2015, at the age of 22, he published 'Sahitya Chetona' magazine. Currently two editions of the magazine are published. One is the online version and the other is the printed version. He is the founder and editor of the two editions. facebook twitter youtube instagram whatsapp

6 মন্তব্যসমূহ

নবীনতর পূর্বতন