আজ মহালয়া, পিতৃপক্ষের অবসান, দেবীপক্ষের সূচনা । সমস্ত অশুভ শক্তিকে নাশ করতে দেবী দুর্গার মর্ত্যে আবির্ভাব । এই অশুভ শক্তি কবে নাশ হবে জানি না । তবে যাইহোক বিশ্বব্যাপী দীর্ঘ কয়েকমাস যাবৎ কঠিন সময়ের সাথে লড়াই করে চলেছে । covid-19 এর দাপটে আজ পৃথিবী ব্যাপী স্তব্ধ । ভাইরাসের উৎপত্তিস্থল চীন । যদিও আমেরিকা দাবী করে আসছে চীনই ভাইরাস সৃষ্টি করেছে । এ ভাইরাস মনুষ্যসৃষ্ট না প্রকৃতির তা নিয়ে রয়েছে নানা বিতর্ক । বিগত কয়েক শতাব্দীতে ফিরে তাকালে পাওয়া যাবে এরকম মারণ ভাইরাসের আগমন । এর আগে প্লেগ বা ম্যালেরিয়া মহামারির আকার ধারণ করেছিল। কিছু রাষ্ট্রের ষড়যন্ত্র তো থাকেই ।
সাহিত্য চেতনা • প্রচ্ছদ • ১৪২৭ |
দীর্ঘ সাতমাস ভারত করোনার কবলে । প্রথমদিকে লকডাউন পর্ব চললেও বর্তমানে জনজীবন স্বাভাবিক করতে চলছে আনলক পর্ব । বর্তমানে ভারতের অর্থনৈতিক সুখকর নয় । বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দা । মানুষ কাজ হারাচ্ছেন । বাড়ছে বেকারত্ব । এ বিষয়ে একটা তথ্য তুলে ধরি– "সেন্টার ফর মনিটরিং ইন্ডিয়ান ইকোনমি" (সিএমআইই)'র রিপোর্ট জানিয়েছে চলতি বছরের গত ১৫ই মার্চ থেকে ৩মে পর্যন্ত সময়ের ব্যবধানে দেশের বেকারত্বের হার ২৭.১১শতাংশ । যার মধ্যে শররাঞ্চলে সবচেয়ে বেশি ২৯.২২ শতাংশ । গ্রামাঞ্চলে ২১.৪৫ শতাংশ ।
গত এপ্রিলেই কাজ হারিয়েছেন গোটা ভারতবর্ষে কমপক্ষে ১২ কোটি । সবথেকে বেশি কাজ হারিয়েছেন দৈনিক মজুরি পান এমন শ্রমিকেরা এবং অপেক্ষাকৃত ছোটো সংস্থায় চাকরী করেন, সেই ব্যক্তিরা । দলে রয়েছেন – হকার্স, রাস্তার নানাবিধ বিক্রেতারা,নির্মান শিল্পের সঙ্গে জড়িত কর্মচারীরা এবং হস্তশিল্পসহ রিক্সাচালক থেকে শুরু করে আরও বিভিন্ন মাধ্যমের কর্মীরাই কাজ হারিয়েছেন বলে দাবি ঐ থিংক ট্যাংক সস্থার ।
শিল্প, কলকারখানা, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান একের পর এক বন্ধ হচ্ছে । ইতোমধ্যে রেল বেসরকারীকরণ হয়ে গেল । ভারতীয় শিক্ষাব্যবস্থায় এসেছে আমূল পরিবর্তন ।
এরই মধ্যে বঙ্গে তছনছ করে দিল বিধ্বংসী আম্ফান । একদিকে মারণ ভাইরাস করোনাকে সঙ্গে নিয়ে লড়াই করছে মানুষ। তারইমধ্যে আমফানের দাপট – যা গোদের উপর বিষফোঁড়া । এক অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে এগোচ্ছি আমরা !
তবে এতকিছুর মধ্যে সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছি আমার - আপনার মতো সাধারণ মধ্যবিত্ত ঘরের মানুষ । এরই মধ্যে কিছু অসাধু মানুষ তারা তাদের ফায়দা লুটে যাচ্ছে।
যাইহোক, আমরা আশাবাদী- আবার স্বাভাবিক জনজীবনে ফিরবো হয়তো শীঘ্র । করোনাকালে অর্থনৈতিকভাবে আমাদের মেরুদণ্ড ভাঙল । সেখান থেকে উঠে দাঁডানো সহজসাধ্য নয় ।
করোনা নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা 'হু' বিভিন্ন সময় বিভিন্ন বক্তব্য পেশ করছে- যা নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে ।
বিভ্রান্তি, গুজবকে উপেক্ষা করে বরং এগিয়ে যাওয়াই হোক আমাদের লক্ষ্য। কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে আমাদের কাজ করতে হয়েছে তাই এই সংখ্যায় কিছু ত্রুটি থেকে যেতে পারে, আশা করি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে তা গ্রহন করবেন । এই অস্বাভাবিক পরিস্থিতিতে 'সাহিত্য চেতনা'র ওয়েব পত্রিকার পুজো সংখ্যা'টি উপহার পারলাম। থাকুন, ভালো রাখুন । সাহিত্য প্রেমীরা সাহিত্যে থাকুন ,সুস্থ থাকুন ।
নমস্কারান্তে–
জয়দেব বিশ্বাস