নকুল উবাচ
— পূজা মৈত্র
অতঃপর অন্যসব পাণ্ডবদের মত
নকুলের ঘরেও এলো অন্যনারী
তা আসবে না-ই বা কেন
সুন্দর শ্রেষ্ঠ যে তার কি একটি রমণীতে
মন ভরেছে কখনো
তাই অন্য সমস্ত পাণ্ডবদের মত
সেও নিয়ে এল আর একজনকে
বিন্দুমাত্র দ্বিধা না করে
পাঞ্চালী নকুলকে ভালোবেসেছিলেন কখনো
ভালোবাসা নয় কতকটা স্নেহই হয়ত
পাত্র ভরে গিয়ে উপচে পড়েছিল
বয়োকনিষ্ঠ স্বামীটির পাত্রে
তাকে নিয়ে এযাবৎ কয়েকশো কবিতা লিখে ফেলা
অনিন্দ্যসুন্দরটিকে একান্ত সময় তেমন
দিতে পারেননি পাঞ্চালী নানান ব্যস্ততায়
তবুও কোথাও যেন খালিখালি লাগে আজ
পাঞ্চালের মেয়েকে নিয়ে এত কথকতা
এত সাজানো গোছানো ভালোবাসার বয়ান
এত একাগ্রতা এত নিষ্ঠা এসব মিথ্যা মনে হয়
পাঞ্চালী দোষ দেন ব্যস্ততাকে অভিশাপ দেন
সময়কে, যে সময় সুন্দরশ্রেষ্ঠকেও আজ
অপর করে দিয়েছে অদ্ভুত ছলনায়
পাঞ্চালী নববধূ বরণের আয়োজন করতে থাকেন..